শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ত্রাণের টাকায় বন্যা ও নদী ভাঙ্গন হ্রাস করা সম্ভব।

ভোরের সংলাপ ডট কম :
আগস্ট ২৯, ২০১৭
news-image

আল ইমরান মনু- সিরাজগঞ্জঃ

বন্যা ও নদী ভাঙ্গন যেন বাংলাদেশে গলায় কাটার মতো বিধে আছে। প্রতি বছর বন্যা ও নদী ভাঙ্গনের ফলে শত শত কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে দেশের।আর এর জন্য প্রতি বছর অনেক হৃদয়বান ব্যাক্তি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন বন্যা ও নদী ভাঙ্গন কবলিত মানুষের প্রতি কিন্ত যদি সঠিকভাবে এই সাহায্য বা ত্রাণের টাকা ব্যাবহার করা হয় নদী শাষন ও নদীর গভিরতার কাজে তাহলে আগামীতে আর কাউকে ত্রাণের জন্য হাত বাড়াতে হবে না এবং আর কাউকে ত্রাণ দিতেও হবে না, দেশটাও  এগিয়ে যাবে অনেকখানি।নদীর পাড়ে বাধ দিয়ে ভাঙ্গন রোধ ও নদীর গভিরতা বাড়ালে বন্যা অনেকটাই হ্রাস পাবে। নদী ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে নদীর তলদেশ উপরের দিকে উঠে এসেছে যার কারনে বর্ষা মৌসুমে পানি চলে যাচ্ছে মুল ভুমিতে আর এই কারনে বন্যার ভয়াবহতার শিকার হচ্ছে সাধারন মানুষ।এবং এভাবে চলতে থাকলে আগামী কয়েক দশকে হয়তো নদীই থাকবে না। গত বছর এবং এ বছর যে পরিমান পানি হয়েছে এর চেয়ে ৩-৪ ফুট পানি কম হলেই জনসাধারনের কোন ক্ষতি হবে না।আর এই ৩-৪ ফুট পানি নদীর গভীরতা বাড়িয়ে নদীতেই রাখা সম্ভব।যমুনা নদী যা দেশের বড় একটি নদী কিন্ত দেখা যাবে আর ২-৩ মাসের মধ্যেই ধু ধু বালু চরে রুপ নেবে। চর জেগে যেন কোনো মরুভুমি হবে যমুনা।আজ থেকে ২০ বছর আগে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার যমুনা অংশ দিয়ে অনেক লঞ্চ, স্টিমার চলতো আর এখন বর্ষা মৌসুমেও বড় নৌকা দেখে দেখে চালাতে হয়, কোথায় যেন চরা আছে, না জানি নৌকা আটকে যায় অথচ নদী ভাঙ্গরে কমতি নাই।চৌহালী উপজেলা চেয়ারম্যান, আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন- যমুনা একটি বড় নদী প্রতি বছর বন্যায় প্রচুর পলি মাটি ও ভাঙ্গনের কারনে যে মাটি চলে যায় তার ফলে চর জেগে ওঠে যার কারনে বন্যার তীব্রতা আরও বেড়ে যায়। তবে ক্যপিটাল ড্রেজিং করে নদীর গভীরতা বাড়ীয়ে বন্যা হ্রাস করা সম্ভব কিন্ত এটা অনেক ব্যায়বহুল তাই মেগা প্রজেক্ট হলে ক্যাপিটাল ড্রেজিং করা সম্ভব

bhorersanglap

আরও পড়তে পারেন