খালেদা জিয়ার মামলার রায় ঘোষণা বেআইনি: আইনজীবী
কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার যে দিন নির্ধারণ করা হয়েছে তাকে ‘বেআইনি’ বলে মন্তব্য করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান রায়ের এ দিন ধার্য করার পর সাংবাদিকদের কাছে আইনজীবী এ মন্তব্য করেন।
ন্যায়বিচার পাননি জানিয়ে খালেদা জিয়ার এই আইনজীবী বলেন, ‘এই আদেশের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাব। সেই সুযোগ না দেওয়ার কারণে খালেদা জিয়ার রায় ঘোষণার আজকের যে তারিখ দেওয়া হয়েছে, আমরা মনে করি, এটা সম্পূর্ণভাবে বেআইনিভাবে দেওয়া হয়েছে।’
আইনজীবী আরো বলেন, ‘আমরা এই আদেশের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে উচ্চ আদালতে গিয়েছিলাম। ওখানেও ন্যায়বিচার পাইনি। আবারও আমরা আপিল বিভাগে যাব, সেখান থেকে কী রায় আসে দেখি।’
সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘আবারও বলছি, আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। হাইকোর্ট বিভাগ থেকে আমরা আপিল বিভাগে যাব। এখন উচ্চ আদালতে যাওয়ার জন্য আজকের একটি অর্ডার এবং আগের একটি অর্ডার নিতে হবে যে আমাদের কোনো সুযোগই দেওয়া হচ্ছে না। আর্গুমেন্ট এবং যুক্তিতর্ক করার কোনো সুযোগ না দেওয়ার কারণে আমরা আজকের আদেশের বিরুদ্ধে আদালতে যাব।’
এর আগে সকালে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আগামী ২৯ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়্।
আজ মঙ্গলবার পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৫-এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান রায়ের জন্য এ দিন ঠিক করেন। আদালতে দুদকের পক্ষে মোশাররফ হোসেন কাজল এবং খালেদা জিয়ার পক্ষে মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও সানাউল্লাহ মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলেন, হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে মামলার কার্যক্রম চালাতে পারবে বলে যে আদেশ বহাল রেখেছেন আমরা তার বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাব। খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য হাসাপাতালে আছেন তাই আদালতে আসতে পারছেন না। তাই মামলার কার্যক্রম মুলতবি রাখার আবেদন করছি।
অপরদিকে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, মামলার কার্যক্রম চালাতে কোনো বাধা নেই। উনারা যেহেতু বক্তব্য দিবেন না তাই বলা যায় তাদের কোনো বক্তব্য নেই। তাই আদালত রায়ের দিন ধার্য করুক। উভয় পক্ষের আবেদনের শুনানি শেষে আদালত রায়ের আগামী ২৯ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক।
মামলাটিতে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী এবং তার তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান আসামি।
মামলাটিতে খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তৎকালীন বিচারক বাসুদেব রায় চার্জ গঠন করেন।
এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই তাঁকে ওই দিন বিকেলে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। সম্প্রতি তাঁকে চিকিৎসার জন্য রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়তে পারেন
- গুলশানের বাড়ি থেকে মওদুদকে উচ্ছেদে অভিযান
- সাহায্য ছাড়া খালেদা জিয়া বিছানা থেকে উঠতে পারছেন না: ফখরুল
- আজ ১০ মহররম :পবিত্র আশুরা
- পোপের সফরে সম্প্রীতির সুবাতাস প্রবাহিত হবে : রাষ্ট্রপতি
- আমিরাতের ৫০০ বছরের পুরাতন মসজিদে `বাংলাদেশি ইমাম` হাফেজ আহমেদ কাটিয়ে দিলেন দীর্ঘ ১১ বছর
- মধ্যপ্রাচ্যে যেকোনো যুদ্ধের বিরুদ্ধে ইমরান খানের হুশিয়ারি
- ‘হাইড্রোজেন বোমার বিস্ফোরণে উত্তর কোরিয়ায় ভূমিকম্প’
- বুড়িগঙ্গায় বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে গেছে ওয়টার বাস, নিখোঁজ প্রায় ৩০
- যেভাবে এলো শবে কদর সন্ধানের রীতি
- মিরপুরের ওসিসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা খারিজ
- বিক্ষোভে উত্তাল গ্রিসে গ্রেপ্তার অভিযান শুরু
- করের বোঝা চাপানোয় জীবনযাত্রা আরও কঠিন হয়েছে: এরশাদ