বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ধর্মপাশা বেইলি ব্রীজ গুলি ঝুঁকি পুরর্ণ।

ভোরের সংলাপ ডট কম :
জুলাই ২৪, ২০১৭
news-image

মিঠু মিয়া ধর্মপাশা( সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি ॥ সুনামগঞ্জ জেলা ধর্মপাশা উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নে
বাদশাগঞ্জ বাজার সংলগ্ন মনাই নদীর উপরে বেইলি ব্রীজের বেহাল অবস্থায় যানবাহন চলাচলের অযোগ্য
হয়ে পড়েছে। ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত যানবাহন চলায় যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
দীর্ঘদিন ধরে বেইলি ব্রীজটির সংস্কার না হওয়ায় ষ্টীলের পাটাতন গুলি ঝং ধরে মরিচা পরে জালের মতো
এবং প্রত্যেক পাটাতনে অসংখ্য ছিদ্র হয়ে ঝরঝর হয়ে যাওয়ায় যে কোন সময় কেড়ে নেবে অগনিত মানুষের
তাজা প্রাণ ।
ধর্মপাশা উপজেলা থেকে মধ্যনগর একমাত্র প্রধান সড়ক, যার উপর দিয়ে লাখো জনতা এবং ছোট ও ভারি
যানবাহন চলে নিত্যনৈমিত্তিক। ব্রীজটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় বেইলী ব্রীজটি যেন মরণফাঁদে
তৈরি হয়ে আছে। আর প্রতিদিন পথচারীসহ বিভিন্ন যানবাহন ও যাত্রীরা বিভিন্ন সময় পড়তে হচ্ছে চরম
দুর্ভোগে।
এলাকাবাসী দাবী, এই এলাকার সকল জনপ্রতিনিধিদেরকে বার বার অবগত করার পরও এর কোন প্রতিকার
হয়নি। মনে হচ্ছে এই বেইলি ব্রীজটি দেখার কেউ নেই।
এত দিন ধর্মপাশা উপজেলার সওজের সব কার্যক্রম সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের অধীনে ছিল। গত বছরের ১১
আগস্ট এ উপজেলার সওজের যাবতীয় কার্যক্রম নেত্রকোনার সওজের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সরেজমিনে পাওয়া যায়, নেত্রকোনার সড়ক ও জনপদ বিভাগের অধিন ধর্মপাশা-মধ্যনগর একমাত্র প্রধান
গুরুত্বপূর্ন সড়কটিতে ৩টি বেইলি ব্রিজগুলোর অবস্থা একেবারেই নাজুক হয়ে পড়েছে। জরাজীর্ণ হয়ে
মরণফাঁদে পরিণত হয়ে আছে। জরাজীর্ণ এসব সেতুর লোহার পাটাতন (পিরা) ভেঙে যাত্রী ও পণ্যবাহী বাস-
ট্রাক আটকে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এসব ব্রিজ দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে অধিকাংশ সময় বিকল
হচ্ছে ছোট-বড় অনেক যানবাহন।
ওই পথের লেগুনা চালক মোঃ মিশু মিয়া বলেন, লেগুনা বোঝাই নিয়ে এই ভাঙ্গাচোরা বেইলি ব্রিজগুলোর উপর
দিয়ে প্রতি দিনই চলতে হয়। বিশেষ করে বাদশাগঞ্জ বাজার সংলগ্ন মনাই নদীর উপরে বেইলি ব্রীজে গাড়ি
উঠার সময় যাত্রী নামিয়েগাড়ি পারাপার করতে হয়। এতে সব সময় ঝুঁকির মধ্যে থাকেন তাঁরা।
ট্রাকচালক বাদশা মিয়া বলেন, এই রাস্তায় পণ্য বোঝাই করে ট্রাক চালিয়ে নিতে খুব কষ্ট হয় গাড়ি উল্টে
যাওয়ার আতঙ্কে থাকেন।
বাদশাগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইসতিয়াক হোসেন চৌধুরী
স্বপন বলেন, আমাদের দেশের বেলী ব্রীজের অতিত ইতিহাস ঘাটলে ব্রীজগুলিকে ঘাতক বলা যায়, কারণ
প্রত্যেকটি ব্রীজ ধসে পরার পর প্রাণঘাতী ঘটনা ঘটলেই সরকারের টনক নড়ে, খালি হয় অভাগী মায়ের
কুল, বিধবা হয় কত বোন, এতিম হয়ে যায় কত পিতৃমাতৃ হারা সন্তান। বিষয়টি প্রশাসন ও জন প্রতিনিধিদের
বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসাহিদ তালুকদার বলেন, ধর্মপাশা-মধ্যনগর সড়কে বেইলি ব্রীজগুলো এখন
মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতি মাসেই সড়কের গর্তে পড়ে গাড়ি উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। এ সড়ক দিয়ে
উপজেলার সেলবরষ, পাইকুরাটি, চামরদানী, মধ্যনগর, বংশীকুণ্ডা উত্তর, বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ও ধর্মপাশা
সদর সহ উপজেলার দুই লাখ মানুষ চলাচল করে। এ বেইলি ব্রীজগুলো অতি তাড়াতাড়ি মেরামত করার
প্রয়োজন।এ বিষয়ে সওজের নেত্রকোনা নির্বাহী প্রকৌশলী দিদারুল আলম তরফদার বলেন, ধর্মপাশা-মধ্যনগর
সড়কের বেইলি ব্রীজগুলো মেরামতের জন্য দ্রুত কার্যক্রম শুরু করা হবে।

bhorersanglap

আরও পড়তে পারেন