বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ফরজের খবর নাই, সুন্নত-নফল নিয়ে টানাটানি!

ভোরের সংলাপ ডট কম :
জুলাই ১, ২০১৭
news-image

এক লোক ঘরে ঢুকে দেখে তার স্ত্রী কান্না করছে। কারন কী? স্ত্রী জবাব দেয় “বাসার পাশের গাছের উপর যে চড়ুই পাখিগুলো বসে ছিলো, সেগুলো হিজাব ছাড়া আমাকে দেখে ফেলেছে। আল্লাহর অবাধ্য হলাম কিনা, সেই ভয়ে কান্না করছি!” লোকটা স্ত্রীর দুই চোখের মাঝে চুমু খায় তার পরহেজগারিতা ও আল্লাহ ভীতি দেখে। এরপর একটা কুড়াল এনে গাছটা কেটে ফেলে।

এক সপ্তাহ পর কাজ থেকে একটু তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরে বেডরুমে গিয়ে দেখে, তার স্ত্রী পর পুরুষ এর হাতের উপর হাত রেখে ঘুমিয়ে আছে। লোকটা কিছু না বলে, নিজের প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র নিয়ে রাগে-দুঃখে নিজের শহর ছেড়ে অন্য শহরে চলে যায়। দূরের এক শহরে পৌছে দেখে মানুষেরা সবাই রাজার প্রাসাদের কাছে জড়ো। কারন কী? মানুষ উত্তর দেয় “রাজার ভান্ডার চুরি হয়েছে।” এমন সময়ে পাশে দেখে এক লোক পায়ের আংগুলের উপর ভর দিয়ে দিয়ে চলছে। প্রশ্ন করলো উনি কে? উত্তর আসলো “উনি এই শহরের শাইখ, পায়ের আংগুলের উপর ভর দিয়ে চলেন, যেনো পিঁপড়া মাড়িয়ে দিয়ে আল্লাহর অবাধ্য হন কিনা, সেই ভয়ে” লোকটা বলে উঠলো “আল্লাহ্’র কসম, আমি চোরকে পেয়েছি। আমাকে রাজার কাছে নিয়ে চলো” রাজার কাছে গিয়ে বললো “আপনার রাজ ভান্ডার চুরি করেছে শহরের ঐ শাইখ। যদি তা না হয় তবে আমার কল্লা কেটে ফেলবেন।” রাজার প্রহরীরা শাইখকে ধরে আনে, জিজ্ঞাসাবাদের পর ঐ শাইখ চুরির কথা স্বীকার করে।

রাজা লোকটিকে জিজ্ঞাসা করে “কিভাবে বুঝেছিলে সে চোর?” লোকটা জাবাব দেয় “যখন দেখবেন যে কেউ গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য বা সাওয়াবের কথায় মাত্রাতিরিক্তি বাড়াবাড়ি করছে, তখন বুঝে নিবেন সে নিজের কোনো বড় গোনাহকে ঢাকছে।”

বর্তমান সমাজে এমন মানুষের অভাব নাই যারা কিছু বেদাআত অর্থাৎ কিছু আমল নিয়ে বাড়াবাড়ি করে। সমাজে ভাগ-বিভাজন তৈরি করে।
আর ফরজগুলোকে উপেক্ষা করে।
ফেসবুক থেকে

bhorersanglap

আরও পড়তে পারেন