বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

হাসিনার অধীনে কখনও নির্বাচন হবে না : গয়েশ্বর

ভোরের সংলাপ ডট কম :
জুন ২৪, ২০১৭
news-image

শেখ হাসিনার অধীনে বাংলাদেশে আর কখনও কোনও দিন নির্বাচন হবে না মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি না গিয়ে ভুল করেননি। এমনকি শুধু বিএনপি নির্বাচনে যায়নি তা নয়। দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ লোক ভোট কেন্দ্রে যায়নি।’

তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ যা করেছে সেটা অপরাধ। তাই আমরা আশা করবো এবং প্রধানমন্ত্রীকে বলবো ভবিষ্যতে অপরাধ করবেন না। একটি কথা মনে রাখবেন প্রতিদিন যেমন এক রকম যায় না তেমনি প্রতিবছর এক হয় না। সুতরাং ২০১৪ সাল অতিক্রম হয়ে গেছে তাই আবারও যদি ক্ষমতায় থেকে জনগণের ভোটাধিকার বঞ্চিত করবেন বলে ভেবে থাকেন তাহলে আপনাদের শেষ পরিণতির জন্য অপেক্ষা করতে হবে। কারণ শেষ হাসিনার অধীনে বাংলাদেশে আর কোনো দিন নির্বাচন হবে না।’

 

শনিবার (২৪ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুর মুক্তির দাবিতে এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে ‌‘জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১’ নামক একটি সংগঠন।

তিনি বলেন, ‌‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সকাল বিকাল চাপাবাজি করেন। বিদ্রুপ করেন। নাটকের অভিনেতাদের মতো কথা বলেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও তার কথাবার্তা শুনে লজ্জা পায়। মনে হয় উনি (ওবায়দুল) প্রতিবন্ধী। যেন প্রতিদিনেই কিছু না কিছু বলতেই হবে।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘আমাদের নির্বাচন আদায় করতে হবে, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করে জনগণের সরকার গঠন করতে হবে। আর এর জন্য প্রয়োজন নিরপেক্ষ সরকার। এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে বিএনপি যদি একটি আসনও না পায় আমরা তখন কথা বলবো না কিন্তু বিএনপি যদি সরকার গঠন করে তাহলে কিন্তু আপনারা (আওয়ামী লীগ ) বলবেন না, একদিনও শান্তিতে থাকতে দেবেন না।’

দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুলের ওপর হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কোনো সরকারই বিরোধীদলকে দাবি আন্দোলন সংগ্রামের অনুমতি দেয় না। কাজেই অনুমতি চাওয়াটাই হচ্ছে দুর্বলতা। জেল জুলুম নির্যাতন হত্যা খুন, গুম এটা নিত্য ব্যাপার। তাই বাঁধা আসবে যেখানে বাঁধবে লড়াই সেখানে এই মনোভাব নিয়ে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। দাবি আদায়ে সামনে অগ্রসর হতে হবে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বর্তমান তথাকথিত সরকার ক্ষমতা ছাড়ছে না, কারণ ক্ষমতায় না থাকলে লুটপাট সম্ভব নয়। এরা মেঘা বাজেটের মাধ্যমে মেঘা লুটপাট করছে। তাছাড়া ঢাকা শহরে যতগুলো গর্ত আছে আজিমপুরে ততটি কবর নাই।’

ভারতের প্রতি ইঙ্গিত করে গয়েশ্বর বলেন, ‘আজকে একটি দেশ আওয়ামী লীগকে মদদ দিচ্ছে। তাদের ধারণা ৭১ সালে তারা বিনিয়োগ করেছিল। তাদের মুনাফা শেখ হাসিনা আর শেখ হাসিনার মুনাফা ক্ষমতা। তাই প্রতিবেশীদের বলবো যদি বাংলাদেশের সাথে সর্ম্পক রাখতে চান তাহলে বাংলাদেশের মানুষের চিন্তা-চেতনা অনুভব করে পদক্ষেপ নিন। একটি দেশের ওপর অযাচিত হস্তক্ষেপ বিশেষ করে একটি দলের ওপর তা গণতন্ত্র পরিপন্থি।’

‘সংবিধানে সহায়ক সরকার বলে কিছু নেই’ আওয়ামী লীগ নেতাদের করা এমন মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাও সংবিধানে ছিল না। সংবিধান হচ্ছে জনগণের চাহিদা অনুযায়ী পরিবর্তন হয়। সংবিধান জাতীয় স্বার্থে কিন্তু বর্তমানে যে সংবিধানে সেটা মনে হয় আওয়ামী লীগের রক্ষা করার জন্য তাই সেই সংবিধান জনগণের কাছে মূল্য নাই।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, ঢাকা মহানগর বিএনপি (দক্ষিণ) সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিঙ্কন প্রমুখ।

ব্রেকিংনিউজ

bhorersanglap

আরও পড়তে পারেন