মঙ্গলবার, ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রংপুর এক্সপ্রেসের ভয়াবহ শিডিউল বিপর্যয়

ভোরের সংলাপ ডট কম :
জুন ২৪, ২০১৭
news-image

অপেক্ষার প্রহর কাটছে না রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রীদের। ট্রেনটি ছাড়ার নির্ধারিত সময় ছিল শনিবার সকাল নয়টায়। অথচ দীর্ঘ চার ঘন্টার পরও কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হতে পারেনি ট্রেনটি। স্টেশনের ট্রেন ছাড়ার সময় সূচির ডিসপ্লেতে ট্রেনটি ছাড়ার সময় পরিবর্তন করা হচ্ছে কিছুক্ষণ পর পর। দুপুর সাড়ে ১১টার পর ডিসপ্লেতে লেখা উঠে যে রংপুরগামী ওই ট্রেনটি কমলাপুর স্টেশন ছাড়ার সম্ভাব্য সময় ১২টা ৪০ মিনিট। অথচ দুপুর সাড়ে ১২টার পর আবারও সময়সূচি পরিবর্তন করে সম্ভাব্য সময় দেয়া হয় ১টা ২০ মিনিট। তবে বেলা ১টা ৩০ মিনিটেও ট্রেনটি প্লাটফর্ম ত্যাগ করে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হতে পারেনি।
ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় সম্পর্কে জানতে চাইলে স্টেশন সংশ্লিষ্টরা জানান, ট্রেনটি সকাল ৯টায় কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও বিলম্বের কারণে সেটি এখনো স্টেশনে এসে পৌঁছায়নি। তাই বার বার সময় পরিবর্তন করতে হচ্ছে।

এদিকে রংপুর এক্সপ্রেসের এই ভয়াবহ শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। অপেক্ষমাণ সকল যাত্রীর চোখে মুখে ছিল বিরক্তির ছাপ। প্রচুর ভীড় থাকায় প্লাটফর্মের উপরেই লাগেজ নিয়ে শুয়ে বসে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে যাত্রীদের। অনেকেই অভিযোগ করেছেন ঈদের অগ্রিম টিকিটের যাত্রা শুরু হওয়ার পর থেকেই ট্রেনটির শিডিউলে বিপর্যয় ঘটছে।
রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী রফিক উন নবী বলেন, পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছি। নয়টায় স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ার কথা তাই আটটার মধ্যেই স্টেশনে চলে এসেছি। কিন্তু দুপুর ১টা বেজে যায় সে ট্রেন ছাড়ে না। মানুষকে ভোগান্তি দেয়ারও তো একটা সীমা থাকে।
আরেক যাত্রী সোহেলী খানম বলেন, বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে সকাল থেকে কতো বসে থাকা যায়। আমরাই তো বিরক্ত হয়ে গেছি। আর বাচ্চারা তো আরো বেশি। এই গরমে কেন যে এরা এত কষ্ট দিচ্ছে মানুষকে। দুই এক ঘন্টা দেরি হলে একটা কথা। চার পাঁচ ঘন্টা যদি ট্রেনের জন্যই অপেক্ষা করতে হয়, তাহলে কখন বাড়ি যাবো বুঝেন?
উৎসঃ poriborton

bhorersanglap

আরও পড়তে পারেন