শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নীলফামারীতে জমে উঠেছে ঈদ বাজার

ভোরের সংলাপ ডট কম :
জুন ১৭, ২০১৭
news-image

ঈদের কেনাকাটা বেশ জমে উঠেছে নীলফামারীর বিভিন্ন স্থানে। কি শহর কি গ্রাম। দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসায় ঈদে নিজেকে সজ্জায় কেনা কাটা সেরে ফেলছেন পরিবারের বিভিন্ন বয়সের লোকজন। রমজানের শেষের দিকে হওয়ায় এখন ক্রেতাদের ভিড় গার্মেন্টস, কসমেটিকস আর দর্জির দোকানগুলোতে। এছাড়া ভিড় রয়েছে জুতা স্যান্ডেল আর পাঞ্জাবির দোকানে।
শহরের বড় বাজার, হাজী মহসিন সড়ক, পৌর সুপার মার্কেট, মকবুল হোসেন মার্কেট, নতুন বাজার, উকিলের মোড় এবং হকার্স মার্কেটে পড়েছে ক্রেতাদের ভিড়। কেউবা পাঞ্জাবি, কেউবা থ্রি-পিচ, কেউবা স্যান্ডেল, কেউবা কসমেটিকস আর কেউবা দর্জির দোকানে দেয়া তৈরিকৃত পোশাক তুলছেন নিয়ে যাওয়ার জন্য।
একই অবস্থা ডোমার, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ, সৈয়দপুর এবং ডিমলা উপজেলাতেও। তবে আলাদা বৈচিত্র্যটা চোখে পড়েছে বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুরে।
নীলফামারী ছাড়াও দিনাজপুর, তারাগঞ্জ, পার্বতীপুর, চিরিবন্দর, বীরগঞ্জ, খানসামা এলাকার ক্রেতারা কেনাকাটার জন্য ভিড় করছেন এখানে। কারণ হিসেবে যোগাযোগ এবং তুলনামূলক কম দাম এবং বাহারি রকমের পোশাক পাওয়া যায় শহরটিতে।

নীলফামারী পৌর সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হুসাইন খান মানিক ঈদকে কেন্দ্র করে বিকিকিনি বেড়েছে মন্তব্য করে বলেন, ১৫ রমজানের পর থেকে ক্রেতারা আসতে শুরু করেছে। যা দিনদিন বেড়ে চলেছে।
ঈদের রাত পর্যন্ত বিক্রি বাট্টা চলতে থাকবে বলেও জানান তিনি।
শহরের হকার্স মার্কেটের বিক্রেতা শাহিন আলম বলেন, তুলনামূলক ভাবে গত ঈদের চেয়ে এবার ক্রেতার সংখ্যা বেশি।
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বোরো ধান কাটা শেষ হওয়ায় হাতে টাকা থাকায় কেনাকাটায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন মানুষেরা।
পৌর সুপার মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা কলেজ ছাত্রী রুমানা পারভীন বলেন, এবারের ঈদে জেলা শহরের দোকানগুলোতে বাহারি রঙ’র থ্রি-পিস এসেছে। মনে হয় সবগুলো যেন কিনে নিয়ে যাই। তবে দাম বেশি রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

হাজী মহসিন সড়কের মনোয়ারা ক্লথ স্টোরের স্বত্বাধিকারী মকছেদ আলী বলেন, দৈনিক দেড় লাখ টাকা বিক্রি হচ্ছে। কোনো কোনো দোকানে তিন লাখ টাকাও বিক্রি হচ্ছে। বেচাবিক্রি শুরু হয়ে চলতে থাকবে চাঁদরাত পর্যন্ত।
জেলা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান বলেন, এ এলাকার মানুষ কেনাকাটার জন্য বিভিন্ন শহরের যান। এখন আর এটা প্রয়োজন হয় না। আমাদের শহরে সব ধরনের পোশাক পাওয়া যায়। দামও কম। সে হিসেবে আমাদের শহরে ক্রেতার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
সৈয়দপুর শহরের সৈয়দপুর প্লাজায় দিনরাত চলছে বিকিকিনি। তাছাড়াও হকার্স মার্কেটসহ অন্যান্য দোকানগুলোতে রয়েছে ক্রেতাদের ভিড়।

bhorersanglap