শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রাতে ফুটপাতে ‘থাকবেন’ মওদুদ!

ভোরের সংলাপ ডট কম :
জুন ৭, ২০১৭
news-image

ডেস্ক রিপোর্ট: তিন দশক ধরে থাকা বাড়ির দখল অবৈধ ঘোষণার পর গুলশানের বাড়ি থেকে বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদকে উচ্ছেদ করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক। মালামাল তুলে রাখা হয়েছে সংস্থাটির ট্রাকে। নতুন আবাস কোথায় হবে? রাজউক বলছে, মওদুদ যেখানে বলবেন, সেখানেই যাবে মালামাল। মওদুদ বলছেন না কোথায় যাবেন তিনি।

বুধবার গুলশান-২ এর ১৫৯ নম্বর প্লটের বাড়ি থেকে মওদুদকে উচ্ছেদ করতে যায় রাজউকের দল। পেশায় আইনজীবী এই বিএনপি নেতা তখন ছিলেন আদালতে। পরিমরি করে ছুটে যান তিনি বাড়িতে। গিয়ে সাংবাদিকদের কাছে প্রকাশ করেন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া।

মালামাল যখন ট্রাকে তোলা হচ্ছিল, তখনও গন্তব্য জানা যায়নি। কিন্তু কোথায় যাবেন মওদুদ। এ বিষয়ে কোনো জবাব নেই তার। পরে কিছুটা অভিমানী সুরে বলেন, ‘কী আর করবো? রাতে ফুটপাতে শুয়ে থাকব।’

এই বাড়িটি নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এরই মধ্যে পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের লাইন কেটে দেয়া হয়েছে। আর মালামাল সব বাইরে নিয়ে এসে ট্রাকে তোলা হয় বিকালের আগেই। এ সময় মওদুদ বাধা দেয়ার চেষ্টা করলেও তাকে অগ্রাহ্য করে পুলিশ।

এখন কী করবেন, জানতে চাইলে বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমার আর কী করার আছে? কী আর করবো? রাতে ফুটপাতে শুয়ে থাকব।’

বাড়িটির প্রকৃত মালিক ছিলেন পাকিস্তানি নাগরিক মো. এহসান। ১৯৬০ সালে তৎকালীন ডিআইটির কাছ থেকে এই বাড়ির মালিকানা এহসান পান। ১৯৬৫ সালে বাড়ির মালিকানার কাগজপত্র এহসানের স্ত্রী অস্ট্রিয়ার নাগরিক ইনজে মারিয়া প্লাজের নামে নিবন্ধন করা হয়।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে এহসান স্ত্রীসহ ঢাকা ত্যাগ করেন। তারা আর ফিরে না আসায় ১৯৭২ সালে এটি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত হয়। ওই বছরই মওদুদ ওই বাড়ির দখল নেন। এরপর ১৯৭৩ সালের ২ অগাস্ট তারিখে মওদুদ ইনজে মারিয়া প্লাজের নামে একটি ‘ভুয়া’ আমমোক্তারনামা তৈরি করান এবং নিজেকে তার ভাড়াটিয়া হিসেবে দেখিয়ে ওই বাড়িতে বসবাস করতে থাকেন।

দুদকের মামলায় বলা হয়, জিয়া সরকারের উপ প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে মওদুদ প্রভাব খাটিয়ে বাড়িটি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করেন। এর ধারাবাহিকতায় ১০০ টাকা মূল্য দেখিয়ে ১৯৮০ সালে প্লটটি তিনি বরাদ্দ নেন।
সূত্র: ঢাকা টাইমস

bhorersanglap