বুধবার, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পিলখানা হত্যা: ৫৮৯ জনের সাজা বৃদ্ধির আবেদন খারিজ

ভোরের সংলাপ ডট কম :
জুন ৬, ২০১৭
news-image

ডেস্ক রিপোর্ট: ২০০৯ সালে পিলখানায় হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ৫৮৯ আসামির দণ্ড বৃদ্ধি চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের তিনটি আপিল আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও জাহিদ সরোয়ার কাজল। জাহিদ সরোয়ার কাজল বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৩ এপ্রিল বিচারপতি শওকত হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের করা এ তিনটি আপিল খারিজ করে দেয়। ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

২০১৪ সালের ৫ নভেম্বর আলোচিত এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আখতারুজ্জামান। মামলায় ৮৪৬ জন আসামির মধ্যে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, বিএনপি নেতা নাসির উদ্দীন আহম্মেদ পিন্টু (কারাগারে মৃত্যু), আওয়ামী লীগের নেতা তোরাব আলীসহ ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয় আরও ২৫৬ জনকে। আর অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় খালাস পেয়েছে ২৭৭ জন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৩৭ জন আসামি বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে। সাজা মওকুফ চেয়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে সবাই আপিল করেছে। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ শুরুতেই বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের সাজা বৃদ্ধির জন্য কোনো আপিল করেনি। বিচারের শেষ পর্যায়ে এসে যাবজ্জীবন ও বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্তদের সাজা বাড়াতে এবং খালাস হওয়াদের সাজা দিতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

হাইকোর্ট বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের করা এ তিনটি আপিল খারিজ করে দেন। রাষ্ট্রপক্ষ ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগও তা খারিজ করে দিলেন।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদরদপ্তরে (পিলখানা) সংঘটিত বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এরপর ওই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। পরে মামলা দুটি নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তর হয়। এর মধ্যে হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র দাখিলের পর রাজধানীর লালবাগের আলিয়ামাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে বিচার করা হয়। বিচার শেষে ২০১৪ সালের ৫ নভেম্বর হত্যা মামলাররায় ঘোষণা করেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. আখতারুজ্জামান।
সূত্র: ঢাকা টাইমস

bhorersanglap