শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

লাকসাম ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে শত শত ফার্মেসী

ভোরের সংলাপ ডট কম :
মে ৭, ২০১৭

সেলিম চৌধুরী হীরা, লাকসাম ঃ
ড্রাগ প্রশাসনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে লাকসাম উপজেলার গ্রামগঞ্জের বিভিন্ন হাট-বাজারে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে শত শত অবৈধ ড্রাগ লাইসেন্স বিহীন ফার্মেসী। শুধুৃমাত্র ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে বেহাল তবিয়তে চালিয়ে যাচ্ছে ঔষধের ব্যবসা। ফার্মেসীগুলোতে নিম্নমানের ঔষধসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট বিক্রি করা হচ্ছে। শহরে অবস্থিত কিছু কিছু ফার্মেসীর ড্রাগ লাইসেন্স থাকলেও উপজেলার গ্রামগঞ্জের বিভিন্ন হাট-বাজারে ফার্মেসী সাথে সাথে অধিকাংশ মুদি ও চায়ের দোকানে অহরহ বিক্রি হচ্ছে নানা রকমের ঔষধ। সরকার দু’দফা বিভিন্ন কোম্পানীর ঔষধ নিষিদ্ধ করলেও গ্রামগঞ্জে ফার্মেসীগুলোতে বিক্রি হচ্ছে সে সমস্ত নিষিদ্ধ কোম্পানীর ঔষধ।
জানা গেছে, ঔষধ কোম্পানীগুলো ঔষধ বিক্রিতে সর্বোচ্চ ৫ থেকে ১০ শতাংশ কমিশন পায় দোকানগুলো। কিন্তু ভেজাল ও নিম্নমানের ঔষধের ক্ষেত্রে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ কমিশন দেয়া হচ্ছে। এতে করে বেশি লাভের আশায় ভেজাল নিম্নমানের ঔষধ বিক্রেতে বেশি আগ্রহী হচ্ছে ঔষধ দোকানগুলো। সাধারন মানুষও কোন ঔষধটি আসল কোনটি ভেজাল তা চিহ্নিত করতে অপারগ। এর ফলে এ ভেজাল ও নিম্নমানের ঔষধের বানিজ্য দিনদিন জমজমাট হচ্ছে। আর স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে সাধারন মানুষ।
নিজের নামের আগে ডাক্তার লিখে ফার্মেসী খুলে রমরমা বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে এক শ্রেনীর অসাধূ লোকজন। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই এন্টিবায়োটিক, নিষিদ্ধ, মেয়াদ উর্ত্তীণ ও নিম্নমানের নানা ধরনের ঔষধ বিক্রি করে চলছে। দু’একটি ফার্মেসী ছাড়া অধিকাংশ ফার্মেসীতে নেই কোন প্রশিক্ষিত ফার্মাসিষ্ট। ফলে রোগ নিরাময়ের পরিবর্তে জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে রোগীরা। এতে আর্থিক, শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি সন্মুৃখিন হয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে অনেক রোগী। অনেকে ডাক্তার না হয়েও গ্রামের সহজসরল লোকদের কাছ থেকে চিকিৎসা সেবার নামে ব্যবস্থাপত্র লিখে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের অর্থ। ওইসব হাতুড়ে ডাক্তাররা আবার বিভিন্ন ক্লিনিকে রোগী পাঠিয়ে কমিশনের নামে নিচ্ছে মাসহারা। এ ক্ষেত্রে নিরব ভূমিকা পালন করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কিছু ঔষধ দোকানদার জানান, দীর্ঘদিন ধরে লাইসেন্স না করেই এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি। আজ পর্যন্ত কোন সমস্যার সম্মুিখন হয়নি। কখনো কোন সরকারী কর্মকর্তা এগুলো খোঁজতে আসেনি। তারা আরও জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে অবশ্যই সকলেই ড্রাগ লাইসেন্স নিয়ে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে ব্যবসা করতে বাধ্য হবে। তবে ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন ঔষধ ব্যবসা চালানো অবৈধ তা অকপটে স্বীকার করেন।

bhorersanglap