শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পদ্মাসেতু শেখ হাসিনার নামে করার দাবি সংসদে

ভোরের সংলাপ ডট কম :
জুন ১২, ২০১৭

 ডেস্ক রিপোর্ট:পদ্মাসেতুর নাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে করার দাবি জানিয়েছেন সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচিত সানজিদা খানম। তিনি মনে করেন, আন্তর্জাতিক চক্রান্তের মধ্যেও শেখ হাসিনা বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বলেই এই সেতু এখন বাস্তবে রূপ নেয়ার পথে রয়েছে।

সোমবার জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই দাবি তোলেন এই সংসদ সদস্য। এটা তার নির্বাচনী এলাকার মানুষের দাবি বলেও উল্লেখ করেন সানজিদা।

 

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর সানজিদাকে সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। পরে জাতীয় সংসদের সদস্যদের পরোক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন তিনি।

এর আগে নবম সংসদে ঢাকা-৪ (শ্যামপুর-জুরাইন) আসন থেকে প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন সানজিদা। তবে দশম সংসদ নির্বাচনে ওই আসনে কোনো প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ। ওই আসন থেকে নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবুল হোসেন বাবলা।

সানজিদা খানম বলেন, পদ্মাসেতু প্রকল্পে দুর্নীতি চেষ্টার অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজ অর্থায়নে এই সেতু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলেই এখন পদ্মাসেতুর স্বপ্ন বাস্তব হতে পেরেছে।

পদ্মাসেতু শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার প্রকল্পের একটি। ১৯৯৮ সালে আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় থাকার সময়ই পদ্মা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু সে সময় তারা কাজ তেমন আগাতে পারেনি। ২০০৯ সালে দলটি আবার ক্ষমতায় আসার পর এই সেতু নির্মাণের উদ্যোগ এগিয়ে দেয়। আর এতে সবচেয়ে বেশি টাকা দেয়ার কথা ছিল বিশ্বব্যাংকের।

 

 

 

 

২০১০ সালের জুলাইয়ে সেতু নির্মাণের জন্য প্রাক-যোগ্যতা দরপত্র মূল্যায়ন করে পাঁচ দরদাতাকে বাছাই করা হয়। তবে বিশ্ব ব্যাংক তা ঝুলিয়ে রাখে। এরপর সংস্থাটি দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে অর্থায়ন তুললে অর্থায়ন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। পরে ২০১২ সালের ৩০ জানুয়ারি গণমাধ্যমে এক বিবৃতিতে এই প্রকল্প থেকে সরে যাওয়ার কথা জানায় বিশ্বব্যাংক।

 

এই প্রকল্পে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাটির ১২০ কোটি ডলার দেয়ার কথা ছিল। উন্নয়ন সংস্থা এডিবিসহ আরও বেশ কয়েকটি সংস্থারও অর্থায়নের কথা ছিল। চুক্তি অনুযায়ী বিশ্বব্যাংক সরে যাওয়ায় অন্য সংস্থাগুলোও সরে যায় এবং পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তে সরকার নিজ অর্থায়নে সেতুর কাজ শুরু করে। এরই মধ্যে প্রকল্পের প্রায় অর্ধেক কাজ শেষ হয়ে গেছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে আগাচ্ছে সরকার।

শেখ হাসিনা শুরু থেকেই দুর্নীতি চেষ্টার অভিযোগকে চক্রান্ত হিসেবে বলে আসছেন। গত ফেব্রুয়ারিকে কানাডার সুপ্রিম কোর্টের বিচারক ইয়ান নরডেইমার আদেশে বলেছেন, পদ্মাসেতুতে দুর্নীতি চেষ্টার যে অভিযোগ আনা হয়েছে ‘অনুমানভিত্তিক, গাল-গল্প ও গুজবের বেশি কিছু নয়।’

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে দাবি করে সানজিদা বলেন ২০২১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার পথে রয়েছে।

বর্তমানে পদ্মাসেতু ছাড়াও কর্ণফুলি আন্ডার ওয়াটার টানেল, ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেলসহ ১০টি মেগাপ্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে জানিয়ে সানজিদা বলেন, এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে দেশের চেহারা আরও পাল্টে যাবে।
সূত্র: ঢাকা টাইমস

bhorersanglap