কুমিল্লার দাপুটে চোরাকারবারি নবী সিন্ডিকেট সক্রিয়
নজরুল ইসলাম দুলাল ঃ
আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা ও সদস্যদের ছত্রছায়ায় বেশ দাপটের সাথে মাদক পাচাঁরসহ চোরাকারবারের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে ‘নবী সিন্ডিকেট’। যেকোন সময়ের চেয়ে নবীর হোসেন নবী সিন্ডিকেট কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম ও সদর দক্ষিণ উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায় বেশ সক্রিয়। কমপক্ষে হাফডজন মামলার আসামি নবী হোসেনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সীমান্তের বিশাল এলাকা । সে জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।
এলাকায় ঘুরে ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর ধরে নবীর হোসেন নবী (৪০) জেলার ভারত সীমান্তের চৌদ্দগ্রাম ও সদর দক্ষিণ উপজেলার বিভিন্ন স্পট দিয়ে মাদক পাচাঁরের সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। তার নেতৃত্বে রয়েছে মাদক বহনকারী বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ। এ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চৌদ্দগ্রামের কোমারডোগা, কাঁঠালিয়া, কালিকৃষ্ণনগর, জামমুড়া, কেকে নগরসহ (মাড্ডা) সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে সে জেলার বিভিন্ন উপজেলা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে ফেনসিডিল ইয়াবাসহ মাদক সরবরাহ করে আসছে। স্থানীয় এলাকায় চিহ্নিত চোরাকারবারি নবী হোসেনের দাপটে তার বিরুদ্ধে এলাকার কেউ প্রতিবাদ করতেও সাহস পায় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, নবী হোসেনের সঙ্গে বিভিন্ন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার বেশ কিছু সদস্য ছাড়াও চৌদ্দগ্রাম ও সদর দক্ষিণ থানার কতিপয় অসাধু পুলিশের বেশ সখ্যতা রয়েছে। প্রায় সময় সাদা পোশাকের লোকজনকে তার বাড়িতে আনাগোনা ও সময় কাটাতে দেখা যায়। তাই হয়রানীর ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলে না। সূত্র জানায়, সদর দক্ষিণ থানার একজন এএসআই যিনি বদলী হয়ে বর্তমানে চৌদ্দগ্রাম থানায় আছেন। ওই এএসআইয়ের সঙ্গে নবী হোসেনের দীর্ঘ দিনের সখ্যতা রয়েছে। সূত্র মতে, মাদক পাঁচার ছাড়াও ওই এএসআই কর্তৃক আটককৃত মাদকদ্রব্যের অধিকাংশই নবী হোসেনের নিকট বিক্রি করা হয়ে থাকে। জানা যায়, নবী সিন্ডিকেট জেলার লাকসাম, বরুড়া, লালমাইয়ের বাগমারাসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে এবং ঢাকা ও চট্টগ্রামে ফেনসিডিল, গাঁজা ও বিভিন্ন মাদকদ্রব্য পাঁচার করে আসছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নবী হোসেনের বিরুদ্ধে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় পুলিশের সোর্স মনির হত্যা মামলা ছাড়াও দ্রুত বিচার আইনে তার বিরুদ্ধে পৃথক মামলা রয়েছে। এছাড়া চৌদ্দগ্রাম থানায় মাদক পাঁচারসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে তার বিরুদ্ধে ৪টি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় জামিনে এসে বর্তমানে বেশ দাপটের সাথে মাদকদ্রব্য পাচার করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি আবু ফয়সল জানান, সে একজন চেরাকারবারি। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা রয়েছে। তিনি আরও জানান, নবী হোসেন ভারত সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় বিচরণ করে থাকে। তাকে গ্রেফতারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।