শনিবার, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ইউরিয়ার প্রয়োজন মেটায় জীবাণু সার

ভোরের সংলাপ ডট কম :
আগস্ট ৫, ২০১৭
news-image

জীবাণু সার একটি অনুজীবঘটিত সার। এ সার ডাল ও তেল জাতীয় ফসল যেমন- মসুর, ছোলা, মুগ, মাসকলাই, বরবটি, সয়াবিন, চীনাবাদাম প্রভৃতিতে নাইট্রোজেন তথা ইউরিয়ার প্রয়োজন মেটায়। ইউরিয়ার বিকল্প হিসেবে জীবাণু সারটি উদ্ভাবন করেছে বিনা। যা এখন উৎপাদিত হচ্ছে এবং কৃষক পর্যায়ে সরবরাহ করা হচ্ছে।

গুণাগুণ
১. বায়ুমণ্ডল থেকে নাইট্রোজেন সংবন্ধন করে ফসলের সর্বাধিক প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান নাইট্রোজেন জোগান দেয়। ফলে ফসলের ফলন বৃদ্ধি পায়। দানায় আমিষের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
২. হরমোন নামের এক প্রকারের উদ্ভিদ বৃদ্ধিকারী জৈব-রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরণ করে যা গাছের বৃদ্ধিতে অত্যন্ত সহায়ক।
৩. এ সারের জীবাণু ফাইটোটক্সিন নামে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরণ করে যা ফসলের রোগব্যাধির জীবাণুকে ধ্বংস করে, ফলে রোগবালাই কম হয় ও ফলন বৃদ্ধি পায়।
৪. মাটির গুণাবলী উন্নত করে। মাটি চাষবাদের ফলে সাধারণত অম্লবৈশিষ্টের হয়ে যায়। এ সকল জীবাণুর ক্রিয়ার ফলে কিছু রাসায়নিক পদার্থের নিঃসরণ ঘটে যা মাটির পিএইচের বৃদ্ধি সাধন করে। ফলে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়।                                                                                                                ব্যবহার পদ্ধতি
* প্রতিকেজি বীজের সাথে ৫০ গ্রাম চিটাগুড় মিশিয়ে বীজের গায়ে আঠালো আবরণ তৈরি করতে হবে।
* আঠালো আয়রণযুক্ত বীজের প্রতিকেজিতে ৫০ গ্রাম হারে জীবাণু সার মেশাতে হবে। যাতে প্রতিটি বীজের গায়ে জীবাণু সারের একটি কালো আবরণ তৈরি হয়।
* এ কালো জীবাণু সার আবরণযুক্ত বীজ ঠান্ডা সময়ে অর্থাৎ গরমের দিনে সকাল ৯টার আগে ও বিকেল ৪টার পর বপন করা উচিত। তাতে কোন জীবাণু অধিক তাপে মারা যাবে না এবং ভালো ফলন পাওয়া যাবে। বপনের পর জমিতে ভালোভাবে মই দিতে হবে যেন বীজগুলো মাটির নিচে চলে যায়।
* বালাইনাশক বা কীটনাশক মেশানো বীজ ধুয়ে সামান্য শুকিয়ে জীবাণু সার প্রয়োগ করতে হবে।প্রাপ্তিস্থান
ময়মনসিংহে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) প্রধান কার্যালয়। এছাড়া বিনা উপকেন্দ্র রংপুর, ঈশ্বরদী, মাগুরা, সাতক্ষীরা, কুমিল্লা এবং বিনা অ্যানেক্স ফার্ম জামালপুরে পাওয়া যাচ্ছে। অথবা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের জেলা ও উপজেলা অফিসে যোগাযোগ করলে দেশের যেকোন স্থানের কৃষক এ সার পাবেন।

bhorersanglap