মঙ্গলবার, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সজনে পাতার গুণ

ভোরের সংলাপ ডট কম :
জানুয়ারি ২৮, ২০২৩
news-image

আমরা অনেকেই সজনে খাই সবজি হিসেবে। কিন্তু এখনো অনেকেই জানেন না যে, সজনের সাথে সাথে সজনে পাতাও খাওয়া যায়। সেই এই সজনে পাতার আছে বহু রকমের ব্যবহার।সজনে পাতার গুণাগুণ সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক

বার্মিজ চিকিৎসকদের মতে সজনের পাকা পাতার টাটকা রস দু’বেলা খাবাবের ঠিক আগে ২-৩ চা চামচ করে খেলে উচ্চ রক্ত চাপ কমে যায়। তবে ডায়াবেটিস থাকলে তা খাওয়া নিষেধ।

সজিনার পাতার গুঁড়োরও বিশেষ গুণাগুণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এতে দুধের চেয়েও বেশি ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম ও জিংক রয়েছে। সজিনা পাতাকে শাক হিসেবে খাওয়া হয়। এতে তাদের শ্রমজনিত ক্লান্তি, শরীরের ব্যথা ইত্যাদি দূর হয়।

সজিনা ফুল শাকের মতো রান্না করে বসন্তকালে খেলে বসন্তের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ হয়। এছাড়া সর্দি, কাশিতে, শ্লোথ, প্লীহা ও যকৃতের কার্যকারিতা কমে গেলে এবং কৃমিনাশক হিসেবে সজিনা ব্যবহার করা যায়। এর পাতা অগ্রহায়ণ-মাঘ মাসে হলুদ হয়ে ঝরে পড়ে। মাঘ-ফাল্গুনে থোকা থোকা সাদা ফুল প্রায় পত্রশূন্য গাছ ছেয়ে থাকে।

অনেক সময় দাঁতের মাড়ির সমসসায় ভুগে থাকেন অনেকে। দাঁতের গোড়া থেকে রক্ত পড়া এবং মাড়ি ফুলে যাওয়া সমস্যায় ইদানীং অনেককে পড়তে দেখা যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সজনে পাতা ১/২ মগ পানিতে ফুটিয়ে নিয়ে সেই পানি দিয়ে ভালো করে প্রতিদিন কুলকুচা করতে হবে। এতে মাড়ির সকল সমস্যার সমাধান হয়। সজনে পাতা ভাজি বা ভর্তা করে খেলে মুখের রুচি আসে। সেইসাথে শক্তি বৃদ্ধি পায়।

সজনে পাতার রস খাওয়ালে শ্বাসকষ্ট সারে ও হেঁচকি ওঠা বন্ধ হয়। তাছাড়া পাতাকে অনেকক্ষণ সিদ্ধ করে তা থেকে যেই ঘন রস পাওয়া যায় হিং (এক ধরনের বৃক্ষ বিশেষ) ও শুকনো আদার গুঁড়ো মিশিয়ে খাওয়ালে পেটের গ্যাস বেরিয়ে যায়।

এছাড়া সজনে পাতার বেটে অল্প গরম করে ফোঁড়ার ওপর লাগালে ফোঁড়া ফেটে যায়। সজনে পাতার রস মাথায় ঘষলে খুসকি দূর হয়। এই সজনা পাতার রসে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার ক্ষমতাও রয়েছে।

bhorersanglap

আরও পড়তে পারেন