শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সাফল্যের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে লক্ষনপুর ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসা

ভোরের সংলাপ ডট কম :
মে ৮, ২০১৭

আশিকুল ইসলাম সাকিলঃ
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার লক্ষনপুর ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসাটি ১৯৫৬ সালের ১ মার্চ স্থাপিত হয়। এর বর্তমান অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মোঃ ছানাউল্যাহ বশরী, এম,এম,এম.এ প্রথম শ্রেণি।
মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেছেন মুহাম্মদ মিয়া । তিনি এই মাদ্রাসার জায়গা অনুদান করেছেন। মাদ্রাসার জায়গার পরিমান অখন্ড ১০৩ শতক । মূল জায়গা ২০৫ শতক, ১১ জন শিক্ষক ও ২২৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এটি যাত্রা শুরু করেন। মাদ্রাসাটি ইবতেদায়ি প্রথম শ্রেণী থেকে ফাযিল ডিগ্রী পযর্ন্ত । মাদ্রাসাটিতে শিক্ষার্থীদের বেতন মাসিক ১০০ টাকা আর সর্বনিম্ম ৩০ টাকা এই মাদ্রাসায় বিনা বেতনে ২শ জন শিক্ষার্থী পড়ালেখা করে। বর্তমানে এ মাদ্রাসায় প্রায় ১১শ শিক্ষার্থী পড়ালেখা করে।
এ মাদ্রাসায় সব বিষয়ের শিক্ষক নেই । এখানে শারিরীক শিক্ষা এবং ইবতেদায়ি শ্রেণির শিক্ষক নেই। মাদ্রাসার নিজস্ব লাইব্রেরী আছে। লাইব্রেরীতে ২৫০০ বই আছে। এই মাদ্রাসায় ইবতেদায়ি পরীক্ষার কেন্দ্র, ভৌগোলিক কারনে জে ডি সি পরীক্ষার কেন্দ্র আনার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এই মাদ্রাসায় ৪ টি ভবন রয়েছে একটি টিন শেড, একটি সেমি পাকা এবং দুইটি দ্বিতল ভবন রয়েছে।


এ মাদরাসা ২০১৭ সালে উপজেলা পর্যায়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক শিশু কিশোর ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার, ২০১৭ সালে দাখিল পরীক্ষায় ৮২ জন অংশগ্রহন করে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গৌরব অর্জন করে, ২০১৬ সালে ইবতেদায়ি ৫ম শ্রেনী পরীক্ষায় মোট ১৩ জন বৃত্তি লাভ করে, ২০১৬ সালে জেডিসি পরীক্ষায় ৯৯ জন অংশ গ্রহন করে শতভাগ সফলতা অর্জন করে, ৩ জন বৃত্তি লাভ করে এবং ১২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে, ২০১৬ সালে দাখিল পরীক্ষায় শতভাগ সফলতা অর্জন করে, ২০১৬ সালে আলিম পরীক্ষায় ৪৫ জন অংশগ্রহন করে ৩৮ জন কৃতকার্য হয়েছে, ২০১৫ সালে ফাযিল ডিগ্রী পরীক্ষায় ১৪ জন অংশগ্রহন করে শতভাগ সফলতা অর্জন করে, ২০১৫ সালে আলিম পরীক্ষায় ৫০ জন অংশগ্রহন করে ৯৮% কৃতকার্য হয়েছে, ২০১৫ সালে দাখিল পরীক্ষায় ৭৩ জন অংশগ্রহন করে ৯৮% কৃতকার্য হয়েছে। ৫ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে, ২০১৫ সালে জেডিসি পরীক্ষায় ১১০ জন অংশগ্রহণ করে শতভাগ কৃতকার্য হয়েছে, ২০১৪ সালে ফাযিল ডিগ্রী পরীক্ষায় ১৮ জন অংশগ্রহন করে শতভাগ কৃতকার্য হয়েছে। ২০১৪ সালে আলিম পরীক্ষায় ৩৯ জন অংশগ্রহন করে শতভাগ কৃতকার্য হয়েছে, ২০১৪ সালে দাখিল পরীক্ষায় ৭৫ জন অংশগ্রহন করে ৯৫% কৃতকার্য হয়েছে। ২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে, ২০১৪ সালে জেডিসি পরীক্ষায় ১১৯ জন অংশগ্রহন করে শতভাগ কৃতকার্য হয়েছে, ২০১৩ সালে ফাযিল পরীক্ষায় ২০ জন অংশগ্রহন করে শতভাগ কৃতকার্য হয়েছে, ২০১৩ সালে আলিম পরীক্ষায় ৩৪ জন অংশগ্রহন করে শতভাগ কৃতকার্য হয়েছে, ২০১৩ সালে দাখিল পরীক্ষায় ৬১ জন অংশ গ্রহন করে ৯৫% কৃতকার্য হয়েছে, ২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে । ২০১৩ সালে জেডিসি পরীক্ষায় ১০৬ জন অংশগ্রহন করে ৯৫% কৃতকার্য হয়েছে, ৭ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। অত্র মাদ্রাসায় রয়েছে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক । তিনি হলেন মোঃ ইকবাল হোসেন। মাদ্রাসার সভাপতি বলেন, অতীতের ন্যায় সামনের দিকে আরো ভালো ফলাফল করার প্রত্যাশা করছি আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে। সাংসদ মোঃ তাজুল ইসলাম এম পি মহোদয়, ক্ষমতা থাকা-কালে লক্ষনপুর ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসায় সরকারিভাবে কোন ভবন তৈরি করে নাই, এমপি মহোদয়ের কাছে আকুল আবেদন যেন, অত্র মাদ্রাসায় একটি ভবন তৈরি করে দেন।
মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের আন্তরিকতা, অভিভাবকদের সচেতনতা আর সর্বোপরি শিক্ষক মন্ডলীদের নিরলস প্রচেষ্টা থাকলে মাদ্রাসার পড়া-লেখার মান আরো বৃদ্ধি পাবে। আশা করি আমরা এই ব্যাপারে আরো দায়িত্ববান হবো।

bhorersanglap

আরও পড়তে পারেন