জলঢাকায় তিস্তা সেচ ক্যানেলে ও নালায় পানি ভরপুর

নীলফামারীর জলঢাকায় তিস্তা সেচ প্রকল্পের প্রধান সেচ ক্যানেলে পানি ছেড়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড । পানি ছাড়ায় এখন ক্যানেল ও নালাসমূহ পানিতে ভরপুর। আর বোরো মৌসুমে পানি ছাড়ায় আনন্দিত কৃষকরা।
বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় তিস্তা সেচ প্রকল্পের জলঢাকার দুন্দিবাড়ী এলাকায় তিস্তার প্রধান সেচ ক্যানেল ও নালা সমুহের গেট খুলে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পানি ছেড়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফলে ক্যানেলসমূহ পানিতে ভরপুর হওয়ার পানি ক্যানেল ও নালা হয়ে ফসলের জমিতে প্রবেশ করায় খুশি কৃষকেরা।
পৌরসভার তিন কদম এলাকার কৃষক মজিবুর , আমিনুর ও মানিক বলেন, দু- বছর ধরে এই খালে পানি প্রবাহ কম ছিল। ফলে কৃষকরা জমিতে সেচের জন্য পানি পায়নি। কিন্তু এবার সেচ খালের সংস্কার ও মেরামত কাজ শুরু হওয়ায় ক্যানেল ও সেকেন্ডারি খালে যে পরিমাণ পানি এসেছে তাতে মনে হচ্ছে টারশিয়ারি খালগুলোতেও পানি চাহিদা মোতাবেক পাওয়া যাবে। ফলে আগের চেয়ে এবার কম খরচে জমিতে সেচ দিতে পারবো।কৈমারী ইউনিয়নের রথবাজার ক্যানেল এলাকার কৃষক কামরুল জানায় ক্যানরলে পানি আছে প্রচুরবোরো আবাদের কেন সমস্যা নেই ধানের চারা সুস্থ আছে এবার ভালো ফলনের আশা করছি।
বিভিন্ন সূত্র জানায় তিস্তা সেচ প্রকল্পের আওতাধীন কৃষকেরা পাবেন চাহিদা মতো সেচের পানি। আরও কমে খরচে এ সুবিধা পাবেন তারা।তাছাড়া এবার ভালো ফলনের পাশাপাশি লাভের আশা করছেন জলঢাকার তিস্তা সেচ প্রকল্পভুক্ত বোরো কৃষকেরা।
সৈয়দপুর ডিভিশন পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, ‘আগামী ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে সেকেন্ডারি খাল থেকে টারশিয়ারি নালায় পানি দেওয়া শুরু হলে কৃষকরা সেচ সুবিধা পেতে শুরু করবেন।’
এবার পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারী জেলায় সেচ দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেচ সম্প্রসারন দপ্তর বলছে নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুরে এবার আমনে ৪০ কোটি টাকার জ্বালানি সাশ্রয় করেছে তিস্তা সেচ প্রকল্প। জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় এবারে যন্ত্র চালিত মেশিনে প্রতি বিঘায় সেচ দিতে খরছ হচ্ছে ২ হাজার ২ শত থেকে ২ হাজার ৫ শত টাকা। কিন্তু তিস্তা সেচ ক্যানেলের পানি দিয়ে খরচ হচ্ছে মাত্র ৮০ টাকা।। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান প্রতিবছরেন মতো এবারও সেচ বাবদ কৃষকের কাছ থেকে ৮০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।
