বৃহস্পতিবার, ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ফখরুলদের বক্তব্যে বেগম জিয়াকে কারাগারে পাঠানোর দাবি উঠতে পারে : তথ্যমন্ত্রী

ভোরের সংলাপ ডট কম :
সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০
news-image

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ অন্যান্য নেতাদের বক্তব্যে দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানোর জন্য জনগণের কাছ থেকে দাবি উঠতে পারে’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বেগম জিয়াকে অন্তরীণ করে রাখা হয়েছে। বিএনপি কখনও হত্যার রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেয়নি। এ বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য হচ্ছে প্রচণ্ড হাস্যকর। মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্যের মাধ্যমে এই প্রশ্নই আসে প্রধানমন্ত্রী তার যে ক্ষমতাবলে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়েছেন মির্জা ফখরুল ও তাদের অন্যান্য নেতারা যে কথাবার্তাগুলো বলছেন, এতে মনে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন এটি না দেখালেই ভালো হতো।

হাছান মাহমুদ বলেন, ভবিষ্যতে যখন এই প্রসঙ্গ আসবে, জনগণের পক্ষ থেকে হয় তো বলা হতে পারে বা মির্জা ফখরুলসহ অন্যদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এখনই বলা হতে পারে- তাকে (খালেদা জিয়া) আবার কারাগারে পাঠানো হোক-এই দাবি ওঠে কি না সেটি হচ্ছে বড় প্রশ্ন।

কারণ তিনি (খালেদা জিয়া) তো সাজাপ্রাপ্ত আসামি, তার তো কারাগারের ভেতরেই থাকার কথা ছিল। তিনি আদালত থেকে তো জামিন পাননি। প্রধানমন্ত্রী সিআরপিসির (ফৌজদারি কার্যবিধি) ক্ষমতা বলে প্রথমে ছয়মাস মুক্তি দিয়েছেন, পরে আরও ছয়মাস বর্ধিত করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন, বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলামের উচিৎ ছিল এই মহানুভবতার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো, কৃতজ্ঞতা জানানো। আর হত্যার রাজনীতির মাধ্যমে বিএনপির উন্মেষ। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান হত্যার রাজনীতির মাধ্যমেই ক্ষমতা দখল করে দল গঠন করেন। সেই ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার জন্য হাজার হাজার সেনাবাহিনীর জোয়ান-অফিসারদের হত্যা করা, আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল। খালেদা জিয়াও সেই হত্যার রাজনীতি অব্যাহত রেখেছেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার অনুমোদনক্রমে এবং তার পুত্র তারেক রহমানের পরিচালনায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করা হয়েছিল শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে যুক্ত ছিল। হত্যার রাজনীতিটাই হচ্ছে তাদের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়।

হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুর বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি আলেম সমাজের সর্বজন ব্যক্তিত্ব ছিলেন। এটি তার জানাজা প্রমাণ করেছে, তিনি আলেমদের মধ্যে এবং ওই অঞ্চলে কী পরিমাণ জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তার এই হঠাৎ মৃত্যু নিয়ে অনেক কথা আছে। আগেও বহুবার এ রকম অসুস্থ হয়েছেন কিন্তু প্রতিবারই তিনি সুস্থ হয়ে আবার মাদরাসায় ফিরে গেছেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, হাটহাজারী মাদরাসার ভেতরে যে বিশৃঙ্খলা সেটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু তিনি যেহেতু হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক ছিলেন, মাদরাসার ভেতরে তার উপস্থিতিতে যে বিশৃঙ্খলা সেটি নিশ্চয়ই তার ওপর মানসিক চাপ তৈরি করেছিল। সেটির সঙ্গে তার সুস্থ হয়ে ফিরে না যাওয়ার কোনো সম্পর্ক আছে কি না, সেটি আসলে ডাক্তাররা ভালো বলতে পারবেন। তবে নিশ্চয়ই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি যে কয়দিন ধরে চলেছে এতে মাদরাসার মহাপরিচালক হিসেবে তার ওপর মানসিক চাপ তৈরি হতে পারে সেটি স্বাভাবিক।

bhorersanglap

আরও পড়তে পারেন