শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শুভ জন্মশতবার্ষিকী বাঙালির মহানায়ক

ভোরের সংলাপ ডট কম :
মার্চ ১৭, ২০২০
news-image

বাঙালি জাতির ইতিহাসে উজ্জ্বল কালান্তরের সূচনা করেছিলেন তিনি। দু’র্বা’র গ’ণ’আ’ন্দো’লন গড়ে উঠেছিল তার হাত ধরেই। যা পরবর্তী সময়ে রূপ নেয় মুক্তির আ’ন্দো’লনে। বাঙালির কাছে তিনি ‘বঙ্গবন্ধু’ নামেই পরিচিত। বাঙালির পরম বন্ধু তিনি। শেখ মুজিবুর রহমান।

বেঁচে থাকলে বঙ্গবন্ধু আজ ১০০ বছরে পা দিতেন। তিনি বেঁচে নেই, তবে সময়ের ঘড়ি ঠিক ঠিক জানান দিচ্ছে কাল পরিক্রমায় এই দিনেই জন্ম হয়েছিল বাঙালি জাতির স’হ’স্র বছরের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ মানব জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের।

সেই শুভক্ষণ থেকেই শুরু হচ্ছে বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী পালনের সব আয়োজন। বছরব্যাপী এই উৎসবের অনুষ্ঠান শেষ হবে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ।

মঙ্গলবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণ শুরু হলেও রাষ্ট্রীয়ভাবে নেওয়া কর্মসূচি শুরু হবে ১৭ মার্চ মঙ্গলবার রাত ৮টায়। মঙ্গলবার ১৭ মার্চ রাত ৮ টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে আতশবাজির মাধ্যমে শুরু হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় পিক্সেল শোর মাধ্যমে শেষ হবে বলে জানা গেছে।

১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার জন্ম না হলে বিশ্বের মানচিত্রে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেতাম না। বঙ্গবন্ধু স্কুলজীবনেই রাজনীতিতে জ’ড়িয়ে পড়েন। গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র থাকাকালে ব্রিটিশবি’রো’ধী আ’ন্দো’লনে যোগদানের কারণে তিনি কারাবরণ করেন।

পরবর্তী সময়ে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা স্বীকৃতির দাবিতে সাধারণ ধর্মঘট চলাকালীন বঙ্গবন্ধুকে গ্রে’ফ’তা’র করা হয়। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৬২ সালে শিক্ষা কমিশনবি’রো’ধী আ’ন্দো’লন,

১৯৬৬ সালে ঐতিহাসিক ৬ দফা দাবি উত্থাপন, ১৯৭০ সালের নির্বাচন এবং সর্বশেষ ১৯৭১ সালে মহান মু’ক্তি’যু’দ্ধে’র পটভূমি তৈরি ও নেতৃত্বদানের মাধ্যমে এক সাগর র’ক্তে’র বিনিময়ে স্বাধীনতার রক্তিম সূর্যকে ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হন। এটাই সত্য যে, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টি হতো না।

বঙ্গবন্ধু শুধু একটি স্বাধীন দেশ দিয়ে যাননি, স্বাধীন বাংলায় গরিব-দুঃখীসহ তার সাড়ে সাত কোটি সন্তান যাতে বিশ্বে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারেন সে ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু এ মহতী কর্মগুলো অর্থাৎ যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠনের মহতী কর্মগুলো সম্পাদন করেন ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর।

এত কিছুর পরও এমন জ্যোতির্ময় পরিপূর্ণ সমৃদ্ধিকে, এমন বৈভবময় ইতিহাসকে হত্যা করা হলো। ঘোর অমানিশা নেমে আসে বাংলার বুকে।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে শুধু বাংলাদেশেই নয়; ইউনেস্কোসহ আন্তর্জাতিকভাবে ‘মুজিব জন্মশতবার্ষিকী’ উদযাপিত হবে।

bhorersanglap