মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে প্রেরণা যুগিয়েছিলেন সুফিয়া কামাল
আজ ২০ নভেম্বর, কবি বেগম সুফিয়া কামালের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯৯ সালের এ দিনে তিনি মারা যান। এ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে বাংলাদেশের প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক এবং নারীমুক্তি আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃত হিসেবে অভিহিত করে বেগম সুফিয়া কামালের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, কবি বেগম সুফিয়া কামালের সোচ্চার ভূমিকা বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের গণতান্ত্রিক শক্তিকে নতুন প্রেরণা যুগিয়েছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পচাঁত্তরের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে হত্যা করে যখন ইতিহাস বিকৃতির পালা শুরু হয়, তখনও তার সোচ্চার ভূমিকা এদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের গণতান্ত্রিক শক্তিকে নতুন প্রেরণা যুগিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, কবি সুফিয়া কামাল ছিলেন একদিকে আবহমান বাঙালি নারীর প্রতিকৃতি, মমতাময়ী মা; অন্যদিকে বাংলার প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ছিল তার আপোসহীন এবং দৃপ্ত পদচারণা। বাংলা সাহিত্যে তার সৃজনশীলতা ছিল অবিস্মরণীয়।
নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার চিন্তাধারা কবির জীবনে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলেছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুফিয়া কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মহিলা হোস্টেলকে ‘রোকেয়া হল’ নামকরণের দাবি জানান। ১৯৬১ সালে পাকিস্তান সরকার রবীন্দ্রসংগীত নিষিদ্ধ করলে এর প্রতিবাদে গঠিত আন্দোলনে যোগ দেন তিনি।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী কবি বেগম সুফিয়া কামালের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।