শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ইসির ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের পরামর্শ সুশীল সমাজের

ভোরের সংলাপ ডট কম :
আগস্ট ১, ২০১৭
news-image

সবার আস্থা অর্জনে নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণ করে নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের পরামর্শ দিয়েছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে বিতর্কিত ইভিএম থেকে সরে সেনাবাহিনীকে ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। ভোটে কালো টাকা ও পেশী শক্তির ব্যবহার ঠেকাতে ইসির ক্ষমতার পূর্ণ ব্যবহার করে একাদশ সংসদ নির্বাচনকে ভয়মুক্ত ও সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানান তারা।
আজ সোমবার বেলা ১১টা থেকে নির্বাচন ভবনে ইসির সংলাপে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা এ পরামর্শ দেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে এ বৈঠক শুরু হয়। এতে অন্তত ৩০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। বৈঠক থেকে বের হয়ে পরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন অনেকে।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডির) বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে ইসির করার কিছু নেই- এমন বক্তব্যকে আমরা অনেকে গ্রহণ করিনি। এখন থেকে ইসির অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে। ইসিকে মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। তাদের দৃঢ়, স্বাধীন ভূমিকা নিয়ে মানুষের কাছে দৃশ্যমান হতে হবে এবং তা প্রমাণ করতে হবে। ইসি নির্বাচনী আইন কার্যকর করার ক্ষেত্রে অনেক দুর্বলতা দেখিয়েছে। প্রশাসন কীভাবে নিরপেক্ষ থাকবে এবং তাদের নিরপেক্ষ রাখতে ইসি কীভাবে ভূমিকা রাখবে তা দেখতে হবে।

তিনি বলেন, সেনাবাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে রাখতে হবে। ‘না’ ভোট চালুর বিষয়ে ব্যাপক ঐক্যমত রয়েছে। পাশাপাশি এ দুটি বিষয়ে ভিন্নমতও এসেছে আলোচনায়। নির্বাচনী ব্যয়কে নিয়ন্ত্রণে আনতে আরো বেশি স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা রাখতে হবে। প্রয়োজনে আলাদা আইন করতে হবে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, নির্বাচনে ভয়মুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে সেনা মোতায়েন করতে হবে। নির্বাচনের আগে বর্তমান সংসদ ভেঙে দিতে হবে। এ বিষয়ে সুশীল সমাজের বেশির ভাগ প্রতিনিধি ঐকমত্য পোষণ করেছেন।

তিনি আরো বলেন, সহায়ক সরকার দরকার। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হওয়া দরকার। সবাই খোলামেলা মত দিয়েছে। অনেক বিষয় মতৈক্য হয়েছে, কিছু বিষয় নিয়ে ভিন্নমত হয়েছে। কমিশনের নিজের উচিত সক্রিয় হওয়া। নিকট অতীতে দেখেছি ইসি নিজস্ব ক্ষমতা প্রয়োগে অনীহা দেখিয়েছে, যেটা সুষ্ঠু নির্বাচন অর্জনে কাজে দেয়নি। ইসি নিজে যেন সক্রিয় হয়। আমরা লিখিত মতামতও দিচ্ছি। রিটার্নিং অফিসারের নিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্ব বিষয়। এক্ষেত্রে নিজস্ব লোকও হতে পারে অথবা ইসির চিহ্নিত জেলা প্রশাসকও হতে পারে। কর্মকর্তা নিয়োগেও সক্রিয় থাকতে হবে। ইসির সক্ষমতা বাড়াতে হবে। অভিযোগ আমলে নেয়া হয় না বা প্রতিকার নেই। এটাতে সক্ষমতা প্রমাণ হয় না। এজন্য সক্ষমতা দেখানো জরুরি। অভিযোগ আমলে নিয়ে সঠিক পদক্ষেপ নিলে অনেক অনিয়ম রোধ হতো।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, কমিশনকে সক্রিয় হতে হবে। সব দলকে নির্বাচনে নিয়ে আসতে হবে। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে। প্রার্থী, পোলিং এজেন্ট ও ভোটারদের মনে যে ভয়ভীতি রয়েছে তা দূর করতে হবে- এটা নিয়ে কারো দ্বিমত ছিল না। নিজে পক্ষে থাকলেও সাবেক আমলাদের অনেকে সেনাবাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় না রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বলেও জানান আসিফ নজরুল।

তিনি বলেন, সেনাবাহিনীকে যদি ফিলিং স্টেশন, রাস্তা নির্মাণের কাজে ব্যবহার করা যায়, তাহলে কেন নির্বাচনে দায়িত্বপালনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে অন্তর্ভূক্ত করা যাবে না। এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে যাতে সবাই নির্বাচনে আসতে পারে। প্রার্থী, পোলিং এজেন্টদের ভয় দূর করতে হবে। সহায়ক সরকার নিয়ে আলোচনা উঠলেও অনেকে পক্ষ-বিপক্ষ নিয়েছেন। প্রশাসনকে ঢেলে সাজানো, ভয়ভীতি দূর করতে ইসি আসলে কোনো পদক্ষেপ নেয় কি-না তা সবার দেখার বিষয় হয়ে রয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন এ নিয়ে ইসির কথা বলা উচিত নয়। আমাদেরও কথা বলা উচিত নয় বলে কেউ কেউ বলেছেন। ইসি চেষ্টা করেছে সবার বক্তব্য শোনার। সবচেয়ে বড় কথা হলো- এখন ইসি কী পদক্ষেপ নেয় তা দেখা। এটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা যায় কিনা বিবেচনা করার জন্যে বলা হয়েছে। যেহেতু জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) রিটার্নিং অফিসার থাকেন, সেক্ষেত্রে বিভিন্ন সরকারের সময়ে সুবিধাভোগী কর্মকর্তাদের বাদ দেওয়া যেতে পারে।

এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, সব দলকে ভোটে আনতে হবে এবং এজন্য সবার জন্যে সমান সুযোগ তৈরি করতে হবে। প্রয়োজনে আইনে ঘাটতি থাকলে তা সংশোধনের ব্যবস্থা নেবে ইসি। নাগরিক প্রতিনিধিরা সাথে থাকবেন। আগামী সংসদ নির্বাচনে এক কোটি প্রবাসী নাগরিককে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করে ভোট দেয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

সংলাপে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অধিকাংশ বিষয়গুলোতে একমত হলেও ভিন্নমত পোষণ করেছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত অলিউর রহমান।

তিনি বলেন, সহায়ক সরকারই তত্ত্বাবধায়ক সরকার। অনেকে বলেছেন, তত্ত্বাধায়ক সরকার আনা হোক। আমরা বলছি- এটা আনা সম্ভব নয়, এটা ডেড ইস্যু। আর্মি নিয়ে আসার কথা বলা হচ্ছে। আমরা বলেছি- তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেয়া ঠিক হবে না, আর্মিকে ভোটে আনার দরকার নেই। পার্লামেন্টে ভেঙে দেয়ার কথা তুলেছেন অনেকে। আমরা বলেছি- ভেঙে দেয়া যাবে না। ইচ্ছাকৃতভাবে একটি গোষ্ঠী সমালোচিত বিষয়গুলোকে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছে বলেও অভিযোগ করেন সাবেক এই রাষ্ট্রদূত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর তাসনীম আরিফা সিদ্দিকী বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাজই জনগণের মতকে তুলে ধরা। সেটা করতে গিয়ে বাধা আসবেই। ইসি যদি জনগণের অধিকার রক্ষায় কাজ করে তাহলে জনগণ তাদের পছন্দ করবে। নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করার কথা বলেন তিনি।

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ বলেন, নির্বাচন হচ্ছে সুপার পলিটিক্যাল ইভেন্ট। এ নির্বাচনের মাধ্যমে দলগুলো ফল ঘরে তোলে। কিন্তু এখনকার সংকট দূর করে নির্বাচনী কৌশলে আসতে হবে।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন আহমেদ খান বলেন, যেসব আইনে দুর্বলতা আছে সেগুলো আইন সংস্কার করা দরকার। ইসির উচিত সরকারকে বলা তারা কী করতে চায়। এ ছাড়া তারা বলে যে তফসিল ঘোষণার আগে কিছু করার নেই। এই কথাটি ঠিক না। এ বিষয় নিয়ে নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য তাদের কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে। যারা অভিবাসী তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য কমিশনকে উদ্যোগ নিতে হবে।

বেশির ভাগই সেনা মোতায়েনের পক্ষে : সিইসি
সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের বেশির ভাগই নির্বাচনকালীন সময়ে সেনা মোতায়েনের পক্ষে মত দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা।

সোমবার বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে সংলাপ শেষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।

তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনায় সেনা থাকবে কী থাকবে না এ নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। সেখানে বেশিরভাগই নির্বাচনকালীন সময়ে সেনাবাহিনী থাকার পক্ষে মত দিয়েছেন। তবে সেনাবাহিনীকে বাহিনী হিসেবে রাখলে অন্য বাহিনীর ক্ষমতা খর্ব হবে, তাদের কাজ ব্যাহত হবে এমনও মত দিয়েছেন কয়েকজন বলেও জানান তিনি।

সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক প্রসঙ্গে নুরুল হুদা বলেন, আমরা অনেক অনুপ্রেরণা পেয়েছি। দিক নির্দেশনা পেয়েছি। নির্বাচন কমিশন কিভাবে স্বাধীনতা ঠিকভাবে পালন করবে সে পরামর্শ দিয়েছেন। ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেন, ভোটার তালিকায় মাইনরিটি জনগণ যাতে বাদ না যায় সে পরামর্শ দিয়েছেন। নির্বাচনে প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার মাপকাঠি থাকা উচিত কি উচিত না সেটা নিয়েও পরামর্শ এসেছে। জাতি নির্বাচন কমিশনের কাছে কঠোরভাবে নির্বাচন পরিচালনা প্রত্যাশা করে এটাও কমিশনকে মনে করিয়ে দিয়েছেন। আমরা আশ্বস্ত করছি আইনের আলোকে নির্বাচন কমিশন ক্ষমতা পালন করে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেয়ার চেষ্টা করবে।

তিনি বলেন, ‘না’ ভোটের বিষয়টি অনেকেই বলেছেন। যেমন যারা প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন তাদের কাউকেই পছন্দ না করলে না ভোটের বিধান থাকতে পারে।

প্রবাসে অবস্থানরত প্রায় এক কোটি ভোটারকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, প্রবাসী ভোটারের বিষয়টা জটিল। এগুলো করা যাবে কি না বলতে পারবো না। তবে আমরা চেষ্টা করবো ভোটারতালিকার আওতায় আনা যায় কি-না।

মনোনয়ন জমা দেয়ার সময় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বাধার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার বিষয়টি নিয়ে পরামর্শ এসেছে। নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে মিডিয়াকে ব্যবহার করা যায় কি না তা নিয়েও আলাপ হয়েছে।

ভোটার তালিকা অনলাইনে প্রকাশ করার পক্ষে সুশীল সমাজ থেকে মতামত এসেছে জানিয়ে বলেন, ভোটারদের ভোগান্তি কমাতে এমন পরামর্শ এসেছে। মোবাইল নিয়ে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের না যাওয়ার বিষয়টি নিয়েও পরামর্শ এসেছে। যাতে ভোট দেয়ার পর প্রার্থীকে ছবি দেখাতে না হয়। কোনো মিডিয়া যাতে প্রার্থীদের নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করতে না পারে এ বিষয়টি নির্বাচনী আচরণবিধিতে অন্তর্ভূক্ত করার প্রস্তাব এসেছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নুরুল হুদা বলেন, এই সংলাপে সরকারের কাছে তাদের জনগণের এবং সুশীল সমাজ যারা নির্বাচন নিয়ে ভাবেন, তাদের যে বার্তা এই বার্তা তাদের কাছে পৌঁছে যাবে। এবং যারা বিরোধী দলে আছেন অথবা সংসদে বিরোধী দলে নেই তাদের কাছে পৌঁছে যাবে। তারা একটা সমঝোতায় আসতে পারবেন। আমার ধারণা প্রভাব পড়বে। কিন্তু আমরা বাধ্য করতে পারবো কিনা জানি না।

অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা যা যা বলেছেন জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন আকারে আমরা প্রকাশ করবো। প্রকাশ করে সরকারের কাছে পাঠিয়ে দেবো। এমনকি প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠিয়ে দেবো।

নাগরিক সমাজের আমন্ত্রিত প্রতিনিধিদের মধ্যে সংলাপে অংশ নেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, এম হাফিজ উদ্দিন খান, সাবেক সচিব এ এইচ এম কাশেম, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তারেক শামসুর রহমান, সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ।

এছাড়া সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, সাবেক রাষ্ট্রদূত এ এফ গোলাম হোসেন, সাবেক সচিব রকিব উদ্দিন মণ্ডল, অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, প্রথম আলোর যুগ্মসম্পাদক মিজানুর রহমান খান, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, সিপিডির সম্মানিত ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, অধ্যাপক এমএম আকাশ, অধ্যাপক অজয় রায়, অধিকারকর্মী খুশী কবির, সাইফুল হক, সঞ্জীব দ্রং, ফিলীপ গায়েন, ব্রতীর প্রধান নির্বাহী শারমিন মুর্শিদ, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, কলাম লেখক মহিউদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক মাহবুবা নাসরিন, কবি লুবানা হাসান আলোচনায় অংশ নেন।

পরে এসে সংলাপে যোগ দেন সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান সা’দত হুসাইন, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান, অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও অধ্যাপক তাসনিম সিদ্দিকী।

bhorersanglap