বুধবার, ৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পোশাক শিল্পে আরসিসি’র যাত্রা শুরু

ভোরের সংলাপ ডট কম :
মে ১৫, ২০১৭
news-image

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে সংস্কার কাজের সমন্বয়ের লক্ষ্যে সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার উদ্যোগে রেমিডিয়েশন কোÑঅর্ডিনেশন সেল (আরসিসি) নামের একটি বিশেষ দপ্তর চালু হচ্ছে। দপ্তরটির কার্যক্রম চালু হচ্ছে আজ (১৪ মে) থেকে। কর্মকর্তারা বলছেন, আরসিসি তৈরি পোশাক শিল্পের কাজ ও কারখানার নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করবে।

 

 
এ সংস্থার কর্মপ্রক্রিয়া সম্বন্ধে জানতে চাইলে বিবিসি বাংলার এক সাক্ষাৎকারে আইএলও’র কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বলেন, এই অস্থায়ী সংস্থা আন্তঃমন্ত্রণালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট কলকারখানা অধিদপ্তর বিভাগের অধীনে গঠন করা হবে। এ্যাকর্ডÑএ্যালাইন্সের পাশাপাশি জাতীয় উদ্যেগে এক্সপোর্ট-ইনপোর্ট রেডিমেট গার্মেন্টস কারখানাগুলোর কাঠামোতে ইলেক্ট্রিক এবং ফায়ার সংক্রান্ত ক্রটিগুলো চিহ্নিত করে আরসিসি’র মাধ্যমে সেগুলো সংস্কার কাজ পরিচালিত হবে।

 

 

 
তিনি আরও বলেন, আরসিসি এ্যাকর্ডÑএলায়েন্সের বিকল্প সংস্থা নয়। কারণ, এ্যাকর্ডÑএলায়েন্সের কেবল নির্দিষ্ট কারখানাগুলোকে সহযোগীতা করে। তাদের কর্মপরিসরের বাইরেও প্রায় ১৫শ’রও বেশি রপ্তানিমুখী কারখানা রয়েছে। আরসিসি প্রাথমিক অবস্থায় শুধুমাত্র সেগুলোতেই সহায়তা করবে। পরবর্তিতে এ্যাকর্ডÑএ্যালায়েন্সের সাথে ২০১৮ সালে যখন সরকারের সাথে চুক্তি শেষ হয়ে যাবে তখন যে কাজগুলো বাকি থাকবে সেগুলো আরসিসির আওতায় চলে যাবে।

 

 

 
এ্যাকর্ডÑএ্যালায়েন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আরসিসি কী ধরণের সহায়তা দেবে? অর্থনৈতিক সহায়তা দেয়া হবে কিনা তা জানতে চাইলে নাজমুল ইসলাম বলেন, সংস্কার কাজের মধ্যে কিছু কাজ আছে যেগুলো একবার কারলেই হয়ে যায়। যেমন বিল্ডিংয়ের কলাম ডিস্ট্রেন্ডিং করতে হয়। এটা একবার করলে হয়ে যায়। কিন্তু বিদ্যুৎ ও আগুন সংক্রান্ত এমন কিছু দিক আছে যেগুলো নিয়মিত পর্যবেক্ষণের মধ্যে রাখতে হয় সেগুলোতে এ্যাকর্ডÑএ্যালায়েন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আরসিসি তদারকি করবে। আন্তর্জাতিক কয়েকটি দাত সংস্থার সাথে জাইকা’র মধ্যে ঋণ সহায়তা বিষয়ে চুক্তি হয়েছে। তারা ৬ শতাংশ সুদে ঋণ দেবে। সেখান থেকে একটি কারখানাকে সর্ব্বোচ্চ ৩০ কোটি টাকা ঋণ দেয়া যাবে।

 

 
কাজ শুরুর পর আরসিসি যদি কোন কারখানার অগ্নি নিরাপত্তা ও অবকাঠামোগত সমস্যা দেখে সেক্ষেত্রে তারা সরাসরি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে?

 

 

 
প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বের তুলনায় আমাদের দেশের আন্তঃমন্ত্রণালয় বা আন্তঃঅধিদপ্তরের সমন্বয়ের অভাব আছে। আরসিসি সেই সমন্বয়ের চর্চা শুরু করবে। যেটাকে আমরা ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ বলছি। আর্কিটেকচারার লেÑআউট থেকে শুরু করে বিদ্যুৎসহ করাখানার যাবতীয় অনুমোদন আরসিসি থেকে দেয়া হবে। কারণ ৬টি দপ্তর মিলে আরসিসি গঠন করা হয়েছে। বিবিসি বাংলা

bhorersanglap

আরও পড়তে পারেন