বুধবার, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

‘ভ্যাট আইন পাস হলে আবাসন খাত শেষ হয়ে যাবে’

ভোরের সংলাপ ডট কম :
জুন ১৭, ২০১৭

প্রস্তাবিত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে ১৫ শতাংশ এক স্তরের ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন হলে আবাসন খাত শেষ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) প্রেসিডেন্ট আলমগীর শামসুল আলামিন।
শনিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট বলেন, নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর হলে দেশের আবাসন খাতের কফিনে শেষ পেরেক মারা সম্পন্ন হবে।

তিনি বলেন, ‘জাতীয় সংসদে বাজেট প্রস্তাব উত্থাপনের আগে আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বিভিন্ন দাবি নিয়ে পৃথক পৃথক বৈঠক করেছি। কিন্তু আমাদের কোনো প্রস্তাব বাজেটে রাখা হয়নি।’
শামসুল আলামিন বলেন, ‘বাজেট প্রস্তাবনায় সরকারের পক্ষ থেকে একটি তহবিল গঠনের ওপর আমরা সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছিলাম। কারণ, মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের জন্য আবাসন খুব সহজেই সম্ভব, যদি সরকারের পক্ষ থেকে সিঙ্গেল ডিজিট সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘মধ্যবিত্তের আবাসনের স্বপ্ন পূরণ করতে এবং আবাসন খাতে গতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে আমরা হাউজিং লোন নামে ২০ হাজার কোটি টাকার রিফিন্যান্সিং করার দাবিও জানিয়েছিলাম। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে এ সংক্রান্ত কোনো নির্দেশনা বা বক্তব্য ছিল না।’

রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট বলেন, ব্যাংক ঋণের সুদ কমলেও তা যেকোনো সময় বাড়তে পারে বলে ক্রেতারা সে ঋণ তেমন নিচ্ছে না। সরকারের বরাদ্দ করা আবাসন লোন হলে সে ক্ষেত্রে রিস্ক থাকে না বলে ইতিপূর্বে সে ধরনের ঋণ নিতে ক্রেতারা আগ্রহী ছিল। ঘোষিত প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে এই তহবিল গঠনের কোনো প্রতিফলন নেই।
রিহ্যাবের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি নুরন্নবী চৌধুরী শাওন বলেন, ‘বর্তমানে আবাসন খাতে রেজিস্ট্রেশন ব্যয় ১৪ শতাংশ থেকে ১৬ শতাংশের ওপরে হওয়ায় ফ্ল্যাট এবং জমি কেনাবেচা কমে গেছে। আমরা রেজিস্ট্রেশন খরচ ৭ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু আমাদের এ দাবি বিবেচনায় নেয়া হয়নি।’

তিনি বলেন, একটা ফ্ল্যাট কেনার পর বিক্রি করলে নামমাত্র খরচে রেজিস্ট্রেশন হওয়ার নিয়ম বিভিন্ন দেশে আছে। তাতে সম্পদ হস্তান্তর সহজ হলে মানুষ এ খাতে বিনিয়োগ করতে বেশি আগ্রহী হতো।

bhorersanglap