বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

যুবকের পকেটে গাঁজা দেওয়ার চেষ্টা, এসআই ক্লোজড

ভোরের সংলাপ ডট কম :
জুন ১১, ২০১৭
news-image

ডেস্ক রিপোর্ট: চলন্ত মোটরসাইকেল থামিয়ে যুবকের পকেটে গাঁজা দেওয়ার সময় জনরোষে পড়েছেন যশোর কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুবুর রহমান। শহরের সোনালী ব্যাংক করপোরেট শাখার সামনে শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় এসআই মাহবুবুর রহমানকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার।
শহরের মাইকপট্টি এলাকার শরিফুল ইসলামের ছেলে শৈশব অভিযোগ করেন, তিনি রাত পৌনে ১০টায় বন্ধু সুব্রতকে নিয়ে একটি মোটরসাইকেলে করে এমএসটিপি স্কুলের সামনে দিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। সোনালী ব্যাংক করপোরেট শাখার সামনে পৌঁছালে সাদা পোশাকের একজন পুলিশ তার মোটরসাইকেল থামান এবং পেছনে বসা সুব্রতর পকেট চেক করতে যান। সে সময় সুব্রত তার পকেট নিজে দেখান। এ সময় পকেট থেকে একটি চাবি নিচে পড়ে যায়। সুব্রত সেটি উঠানোর সময় একটি কাগজ মোড়ানো অবস্থায় সুব্রতর পকেটে দেওয়ার চেষ্টা করেন ওই পুলিশ সদস্য। সেটা তারা দেখে ফেলেন এবং পকেটে কী দিচ্ছেন বলে প্রতিবাদ করেন।
তখন ওই পুলিশ গালি দিলে তারা চিৎকার চেঁচামেঁচি করেন। এ সময় শৈশব তার মোবাইল ফোন পকেট থেকে বের করে কল দিতে গেলে ওই পুলিশ সদস্য তার মোবাইল কেড়ে নেন এবং রাস্তার ওপর ফেলে ভেঙে দেন। এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে এসআই মাহবুবকে ঘিরে ধরেন এবং তাকে মারধর করতে উদ্যত হয়।
পরে কোতোয়ালি থানার ওসি (অপারেশন) শামসুদ্দোহা, সিনিয়র অফিসার এসআই মিরাজ মোসাদ্দেক, এসআই মোকলেসুজ্জামানসহ অন্যরা এসে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন।
পুলিশ সবার উপস্থিতিতে ওই যুবকের মোবাইল ফোনের ক্ষতিপূরণ বাবদ তিন হাজার টাকা দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। একইসঙ্গে এসআই মাহবুবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ওসি শামসুদ্দোহা জানান।
এ বিষয়ে শনিবার রাতে যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ওই ঘটনার জন্য এসআই মাহবুবকে দোষী সাব্যস্ত করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র: পরিবর্তন

bhorersanglap