শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সমুদ্র দূষণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত গরিব দেশগুলো

ভোরের সংলাপ ডট কম :
জুন ৮, ২০১৭
news-image

ডেস্ক রিপোর্ট: সমুদ্র দূষণে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অবদান সবচেয়ে কম হলেও এ দূষণের নেতিবাচক প্রভাবের কারণে তারাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

বুধবার (৭ জুন) নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে ওশান কনফারেন্সের সাধারণ সভায় এলডিসি গ্রুপের পক্ষে বক্তব্য প্রদানকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব মোহাম্মাদ খুরশিদ আলম এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘দারিদ্র্য বিমোচন, সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন এবং সর্বোপরি জীবনের জন্য দূষণমুক্ত মহাসাগরের কোনও বিকল্প নাই, যা স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য অধিকহারে প্রযোজ্য। আমাদের সমুদ্র, মহাসমুদ্র ও সামুদ্রিক সম্পদ সংরক্ষণ এবং এর টেকসই ব্যবহারের বিষয়গুলো শুধু কথার মধ্যে না রেখে একে কাজে পরিণত করার এখনই সময়।’

মোহাম্মাদ খুরশিদ আলম ছয় সদস্যের বাংলাদেশ ডেলিগেশনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, খুরশিদ আলম তার বক্তব্যে বলেন, ‘সমুদ্রের অব্যাহত দূষণ, সমুদ্রসম্পদের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার এবং সামুদ্রিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে এলডিসি’র দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কিন্তু এতে এসব দেশগুলোর ভূমিকা খুবই কম। এ পরিপ্রেক্ষিতে তিনি সমুদ্র দূষণ মোকাবিলায় সকল পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, বিজ্ঞানের ব্যবহার, যথাযথ আর্থিকনীতি প্রণয়ন, নেতিবাচক মৎস্য ভতুর্কি বন্ধ এবং অবৈধ মাছ ধরার প্রতি নিষেধাজ্ঞাসহ সাতটি সুনির্দিষ্ট বিষয় তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।

বিদ্যমান বিভিন্ন চুক্তি ও কাঠামো অনুযায়ী এলডিসি’র জন্য সামুদ্রিক ও অন্যান্য প্রযুক্তি হস্তান্তর সক্ষমতা বৃদ্ধি, সকল স্তরে কার্যকর অংশীদারিত্ব এবং টেকসই তহবিল গঠনে জি-৭ সহ উন্নত দেশগুলোকে কার্যকর প্রদক্ষেপ নিতে তিনি আহ্বান জানান।

জাতিসংঘের সদর দফতরে ওশেন কনফারেন্সে বক্তব্য রাখছেন মোহাম্মদ খুরশিদ আলমগত ৫ জুন শুরু হওয়া সপ্তাহব্যাপী এই ওশান কনফারেন্সে ১৪ জন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানসহ জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন, যারা সামুদ্রিক সম্পদ সংরক্ষণ ও এর টেকসই ব্যবহারের প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করেন।

এলডিসি’র দেশগুলোর পক্ষে বক্তব্য প্রদান ছাড়াও বাংলাদেশ সাতটি বিষয়ভিত্তিক আলোচনা পর্বে অংশগ্রহণ ও দুটি সাইড-ইভেন্টের আয়োজন করে। প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার, মৎস্য ও অন্যান্য সামুদ্রিক প্রজাতি, বনায়ন এবং ম্যানগ্রোভ বনের প্রতিবেশগত টেকসই উন্নয়ন বিষয়ে বাংলাদেশ এ সম্মেলনে প্রতিশ্রুতি প্রদান করে।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ ও সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট পিটার থমসন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। আগামী ৯ জুন ‘কল-ফর-অ্যাকশন’ গ্রহণের মাধ্যমে এ সম্মেলন শেষ হবে।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

bhorersanglap