শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ফেরত যাচ্ছে ৫০ লাখ টাকা

ভোরের সংলাপ ডট কম :
জুন ৮, ২০১৭
news-image

ডেস্ক রিপোর্ট: আর্থিক ক্ষমতা না পাওয়ায় সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেসিপ) ট্রেনিং করাতে পারলেন না (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী শিক্ষা অফিসার তপন কুমার বিশ্বাস। ফলে ৬ দিনব্যাপী এ ট্রেনিংয়ের জন্য বরাদ্দ আনুমানিক ৫০ লাখ টাকা এখন ফেরত যাচ্ছে। এতে আর্থিক ও পেশাগত দক্ষতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ৬৪০ জন শিক্ষক।

জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, নড়াইলের জেলা শিক্ষা অফিসার রনজিৎ কুমার মজুমদারকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং-৩৭.০০.০০০০.০৭১.১১.০১১.২০১৬-৪৪৯, তারিখ-২৬/০৪/২০১৭৭ খ্রি. মোতাবেক ধর্মীয় ও দর্শনীয় স্থান দর্শনের জন্য ২২ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত ২৫ দিন অথবা যাত্রার তারিখ থেকে ২৫ দিন অর্ধগড় বেতনে বহি: বাংলাদেশ ছুটি মঞ্জুর করা হয়।

এমতাবস্থায় জেলা শিক্ষা অফিসার রনজিৎ কুমার মজুমদার গত ২৫ মে ভারতে চলে যান। চিঠির কপিতে বলা হয় ২৯ মে থেকে ২২ জুন পর্যন্ত ২৫ দিন ধর্মীয় ও দর্শনীয় স্থান দর্শনের জন্য তিনি বহি: বাংলাদেশ ছুটিতে ভারত যেতে ইচ্ছুক। বর্ণিত অনুপস্থিতিকালীন সময়ে অত্র অফিসের সাময়িক দ্বায়িত্ব পালন করবেন (আর্থিক লেনদেন ব্যতীত) সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার তপন কুমার বিশ্বাস।

এ বিষয়ে নড়াইল মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের ডিস্ট্রিক ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর হাবিবুল্লাহ বলেন, জেলা শিক্ষা অফিসার রনজিৎ কুমার মজুমদার আর্থিক ক্ষমতা (ভারপ্রাপ্ত) শিক্ষা অফিসার তপন কুমার বিশ্বাসকে না দেয়ায় এ বছর ট্রেনিংটা হলো না। আমরা ঢাকা অফিসের সঙ্গে কথা বলেছি কিন্তু জুন ক্লোজিং মাস হওয়ায় ৬৪০ জনের ৬ দিন ব্যাপী আনুমানিক ৫০ লাখ টাকার এ ট্রেনিং আর্থিক ক্ষমতার অসুবিধার কারণে এ বছর করা সম্ভব হলো না। বিধায় নড়াইলের শিক্ষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন।

এ বিষয়ে নড়াইলের সহকারী শিক্ষা অফিসার তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের অধীনে এ বছর নড়াইলসহ বাংলাদেশের ২২ জেলায় সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেসিপ) এর ট্রেনিং এ মাসে হবে। কিন্তু জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমাকে আর্থিক ক্ষমতা না দেয়ায় আমি এ ট্রেনিং করাতে ব্যর্থ হচ্ছি। এটা আমার জীবনের চরম ব্যর্থতা এবং আমি খুবই মর্মাহত।

আমি চাকরি জীবনে অনেক ট্রেনিং সফলভাবে করিয়েছি। কিন্তু এ ট্রেনিং না করাতে পারায় নড়াইলের ৬৪০ জন শিক্ষক আর্থিক ও পেশাগত দক্ষতা থেকে বঞ্চিত হলেন।

তিনি আরো বলেন, আমরা অফিসের সকলে একসঙ্গে আলোচনা করে আর্থিক ক্ষমতা পাওয়ার জন্য একমত হয়ে অফিসের নিয়মানুযায়ী ঢাকা অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ঢাকায় অফিসের কামরুলকে পাঠালে কে বা কারা ভারতে থাকা শিক্ষা অফিসার রনজিৎ কুমার মজুমদার স্যারকে জানিয়ে দিলে স্যার কামরুলকে নিষেধ করেন ঢাকা অফিসে গিয়ে আর্থিক ক্ষমতা না আনতে।

এ ব্যাপারে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রনজিৎ কুমার মজুমদার দেশের বাইরে থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. এমদাদুল হক চৌধূরী বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। তবে সল্প মেয়াদী ট্রেনিং বা ছুটি হলে আর্থিক ক্ষমতা না ও দিতে পারেন। তথাপিও আমি বিষয়টি দেখব কেন আর্থিক ক্ষমতা দেয়া হলো না।
সূত্র: জাগো নিউজ

bhorersanglap