শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কাতারের প্রতি দরদ দেখালেই ১৫ বছরের জেল

ভোরের সংলাপ ডট কম :
জুন ৮, ২০১৭
news-image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকার হুমকি দিয়ে বলেছে, কেউ যদি কাতারের প্রতি সহানুভূতিশীল বক্তব্য প্রকাশ করে, তাহলে তাকে পনের বছরের কারাদণ্ড দেয়া হবে।

ইউএই-র অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সোশ্যাল মিডিয়াতে দোহা সরকারের প্রতি সমর্থন দিয়ে কোন পোস্ট করা হলে তাকে সাইবার অপরাধ বলে বিবেচনা করা হবে।

এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে যে, কয়েকটি উপসাগরীয় দেশের সঙ্গে মিলে তারা কাতারের রাষ্ট্রক্ষমতায় রদবদল ঘটাতে চাইছেন। এই অভিযোগ অস্বীকার করে আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আনওয়ার গার্গাশ বলেন, ওই অঞ্চলে উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদের প্রধান মদতদাতা হচ্ছে কাতার।

সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর, বাহরাইন, লিবিয়া, ইয়েমেন ও মালদ্বীপ কাতারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদত দেয়ার অভিযোগ এনে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে।

পারস্য উপসাগরের প্রতিবেশী দেশগুলো কাতারকে একঘরে করার পর তারা ইরান এবং তুরস্ক থেকে বিমান বোঝাই করে খাদ্য সামগ্রী আনার পরিকল্পনা করছে দেশটি। এদিকে তুরস্ক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তারা কাতারের সামরিক ঘাঁটিতে সৈন্য পাঠানোর লক্ষ্যে পার্লামেন্টে দ্রুত একটি বিল পেশ করবে। ইরান এবং তুরস্ক থেকে পাওয়া খবরে বলা হচ্ছে, কাতারের খাদ্য সংকট মোকাবেলায় তারা সেখানে বিমানে খাবার ও পানি পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।

পারস্য উপসাগরের আরব দেশগুলোর মধ্যে এই সংকটে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন কুয়েতের আমির।

কাতার তার খাদ্য এবং পানির জন্য আমদানির ওপর নির্ভরশীল। ইরান, তুরস্ক এবং অন্য কয়েকটি দেশ থেকে যেন খাদ্য ও পানি আমদানি করা যায় সেজন্যে সরকার আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কাতারের কয়েকজন কর্মকর্তা।
সূ্ত্র: ঢাকা টাইমস

bhorersanglap