শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জুন ক্লোজিংয়ের নামে আওয়ামী লুটপাট : রিজভী

ভোরের সংলাপ ডট কম :
জুলাই ২, ২০১৭
news-image

জুন ক্লোজিংয়ের নামে সারাদেশে আওয়ামী লুটপাট চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। রাজধানীর নয়া পল্টনে রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, আপনারা ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে জেনেছেন জুন ক্লোজিংয়ের নামে সারাদেশে আওয়ামী লুটপাট চলছে। দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলার এইসব লুটপাটের খবর পত্রপত্রিকায় ফলাও করে প্রকাশিত হয়েছে। এমনকি মসজিদ মন্দিরের নামে ভুয়া কমিটি তৈরি করে অথবা নামসর্বস্ব ধর্মীয় ও সামাজিক ক্লাব সংগঠন দেখিয়ে সরকারি বরাদ্দ নিজেদের পকেটে ঢুকাচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা।

বলেন, সারাদেশের জেলা উপজেলায় চলতি জুনে ভুয়া প্রকল্পের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা লুটপাটের খবর গণমাধ্যমগুলোর এখন প্রধান শিরোনাম। আজকেও গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে-হবিগঞ্জ জেলার কুলাউড়া উপজেলায় অস্তিত্বহীন মসজিদ, মন্দিরের নামে সরকারি বরাদ্দ নিয়ে লুটপাট চালাচ্ছে তারা।
রিজভী বলেন, লালমনিরহাটে জুন ক্লোজিংয়ের নামে টিআর, কাবিখা’র দশ কোটি টাকা লোপাট। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা কাগজে কলমে প্রকল্প দেখিয়ে অন্তত: দশ কোটি টাকা পকেটে পুরেছে। এসব লুটপাটে উৎকোচের বিনিময়ে সহায়তা করছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কতিপয় স্থানীয় কর্মকর্তা।

আওয়ামী লীগের নেতারা জেনেটিক্যাল লায়ার দাবি করে তিনি বলেন, এমন লুটপাটের ঘটনা দেশের সবত্রই বিরাজমান। ব্যাংক, বীমা, সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠান গিলে ফেলে এখন তারা মসজিদ মন্দিরের টাকাও আত্মসাতে মেতে উঠেছে। লুটপাটের মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচার করে পুরো দেশটাকে ধ্বংস করেও ক্ষমতাসীনদের ক্ষুধা মিটছে না। এখন তাদের থাবা মসজিদ মন্দিসসহ ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকেও।
বিএনপি এই নেতা বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা, সড়ক দুর্ঘটনায় বাড়িতে বাড়িতে শোকের মাতম, দেশকে বিপুলবিস্তারী দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য বানানো ইত্যাদি নানা ধরনের অবিচার অনাচারের নৈরাজ্যময় পরিস্থিতিতে দেশবাসী এখন বিপর্যস্ত ও বিপন্ন। কিন্তু প্রতিবাদ করলেই আওয়ামী মন্ত্রী ও নেতাদের আঁতে ঘা লাগে। কারণ তাদের প্রচারিত মিথ্যা কথা সবাইকে বিশ্বাস করতে হবে। গায়ের জোরে তারা মিথ্যাকে সত্য বলে জনগণের ওপর চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে। সত্যের লেশ এরা সহ্য করে না।

রিজভী দাবি করেন, আওয়ামী লীগের নেতারা জেনেটিক্যাল লায়ার। কিছু নেতা আছে যারা মন্ত্রীত্ব হারিয়ে এখন বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। এদের দ্রুত মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যদি এখনও নিজেদেরকে সংশোধন না করে তাহলে অবিলম্বে তাদের বিপজ্জনক অবতরণ ঘটবে।
বাজেট সম্পর্কে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, বাজেট পাশের পূর্বে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তারা দেশকে আর্থিকভাবে স্বয়ংসম্পন্ন করে নিজের পায়ে দাঁড় করিয়েছে। তিনি আরো বলেছেন ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। কিন্তু গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে-আজকে যে শিশুটি জন্মগ্রহণ করবে তার মাথায়ও ৪৬ হাজার ১৭৭ টাকা ঋণের বোঝা পড়বে। অর্থাৎ প্রতিটি মানুষের ওপর গড়ে ৪৬ হাজার টাকা ঋণের বোঝা দিয়েই শুরু হয়েছে ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছর। ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে মাথা পিছু যে ঋণের পরিমাণ ছিল ৪০ হাজার কোটি টাকা। বিশাল ঘাটতির এই বাজেট পুরোটাই ঋণনির্ভর। এই ঋণ প্রতিবছর শুধু বাড়ছে। ফলে জনগণের ওপরর ঋণের বোঝাও বাড়ছে


বিশাল বাজেট এর ঘাটতি মেটাতে সরকারকে ব্যয়বহুল ঋণ নিতে হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা তৈমূর আলম খন্দকার, রুহুল কুদ্দস তালুকদার দুলু, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, শহীদুল ইসলাম বাবুল, আজিজুল বারী হেলাল, আব্দুস সালাম আজাদ, আব্দুল আউয়াল খান, আবু নাসের মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ প্রমুখ।

bhorersanglap

আরও পড়তে পারেন