শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিশ্বের সর্ববৃহৎ বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট এখন বাংলাদেশে

ভোরের সংলাপ ডট কম :
অক্টোবর ২১, ২০১৮
news-image

বিশ্বের সর্ববৃহৎ বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট এখন বাংলাদেশে। আগুনে পোড়ার চিকিৎসার লক্ষ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচনকারী শেখ হাসিনা ন্যাশনাল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে রোগীদেরকে সর্বোত্তম সেবা দেওয়া হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে নামকরণকৃত বিশ্বের সর্ববৃহৎ বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট আগামী বুধবার উদ্বোধন করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী বুধবার (২৪ অক্টোবর ২০১৮) রাজধানীর চাঁনখাঁরপুল এলাকায় অবস্থিত এই হাসপাতালটি উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। খবর বাসসের।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়কারি ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের পাশে অবস্থিত ১২তলা এই ইনস্টিটিউটে পোড়ার রোগিরা যেমন উন্নততর সেবা পাবেন, তেমনি ডাক্তার ও নার্সরা তাদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষন পাবেন।

এই ইনস্টিটিউটে আরও অধিক পোড়ার রোগীকে চিকিৎসা দেয়ার সুযোগ হবে এবং এখানকার প্লাস্টিক সার্জনরা দেশের চাহিদা পূরণে সক্ষম হবেন বলে জানান এই ইনস্টিটিউটের চিফ কো-অর্ডিনেটর ডা. সামন্ত লাল সেন।

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আশা প্রকাশ করেছেন, এই বিশেষায়িত হাসপাতাল থেকে পোড়ার রোগিরা উন্নততর চিকিৎসা সেবা পাবেন। আধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি সম্বলিত এই ইনস্টিটিউটটি চিকিৎসা, গবেষনা ও অধ্যয়নের কেন্দ্রে পরিনত হবে।

তিনি বলেন, পাঁচশ’ শয্যা, ৫০টি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট, ১২টি অপারেশন থিয়েটার বিশিষ্ট এই ইনস্টিটিউটটি বিশ্বের বৃহত্তম বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পরিনত হবে। বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি চিকিৎসা সেবার উন্নয়নের প্রতি আন্তরিকতার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় এই ইনস্টিটিউটের নাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে নামকরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসিরউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে ইনস্টিটিউটটি নির্মাণ করেছে।

এই ইনস্টিটিউটটি নির্মান করতে ব্যয় হয়েছে আনুমানিক ৫২২ কোটি টাকা।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল এই ইনস্টিটিউটটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং মূলভবনের নির্মানকাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল।

bhorersanglap