শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রে যৌন হয়রানি এবং অপহরণের অভিযোগে বাংলাদেশী খালেক গ্রেফতার

ভোরের সংলাপ ডট কম :
মে ১৫, ২০১৭
news-image

ক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশী ও সেখানকার নাগরিক নিপা মোনালিসা যৌন হয়রানির ও অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। এই অভিযোগে প্রবাসে বাংলাদেশী কম্যুনিটির সামাজিক এবং রাজনৈতিক সংগঠনের তথাকথিত নেতা ৪৭ বছর বয়সী ট্যাক্সি চালক মোহাম্মদ খালেককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। কম্যুনিটিতে সে ইঞ্জিনিয়ার খালেক নামেই পরিচিত। তিনি নিজে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলেও বিভিন্ন গণমাধ্যমে পরিচয় প্রকাশ পেয়েছে। নিপা মোনালিসার বয়স ২৭ বছর।

 

 

 
নিউইয়র্ক থেকে এনা জানায়, নিউইয়র্কের মূলধারার বিভিন্ন টিভি ও প্রিন্ট মিডিয়াকে নিপা মোনালিসা বলেন, আমি গত ৭ এপ্রিল ব্রঙ্কসে একটি দোকানে কাজ করছিলাম। আগে থেকেই মোহাম্মদ খালেক আমার পরিচিত। কারণ সে আমাদের বাসার উপরের তলায় থাকে। আমার কাজ শেষে ব্রঙ্কসের বাসায় যাওয়ার জন্য স্টোর বের হতেই মোহাম্মদ খালেক আমাকে বলেন, আমার ট্যাক্সিতে আসুন আমি আপনাকে আপনার বাসায় পৌঁছে দেব।
তিনি বলেন, পরিচিত জেনেই আমি তার ট্যাক্সিতে উঠি। ট্যাক্সিতে উঠার পরই সে আমাকে বাসায় না নিয়ে ব্রঙ্কস থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে কানেকটিকাটের নরওয়াকে নিয়ে যায় এবং গাড়ি থামিয়ে বলে, এই ১ হাজার ডলার তোমার, যদি তুমি আমার সাথে সেক্স কর। আর যদি সেক্স করতে না দাও তাহলে তোমাকে যেতে দেব না। এক পর্যায়ে সে আমাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। আমি ৯১১ কল করি কিন্তু পুলিশকে বলতে পারছিলাম না আমি কোথায়। কারণ আমি স্থানটি চিনি না, আমি ইমিগ্র্যান্ট হয়ে মাত্র কিছু দিন আগে আমেরিকায় আসি।

 

 

 

 
নিপা বলেন, আমি বার বার ট্যাক্সি থেকে বের হবার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু সে আমাকে গাড়ি থেকে বের হতে দিচ্ছিলো না। এক পর্যায়ে সুযোগ বুঝে আমি গাড়ি থেকে বের হয়ে পালিয়ে যাই এবং আবারো পুলিশ কল করি। এ দিকে নিপা মোনালিসার অভিযোগে নিউইয়র্ক পুলিশ মোহাম্মদ খালেককে গত ১১ মে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করে। ১২ মে মোহাম্মদ খালেককে কোর্টে তোলা হলে সে জামিনে বেরিয়ে আসে। নিপা জানান, সে বের হওয়ায় আমি আতঙ্কিত। নিপার স্বামী শহীদুল ইসলাম বলেন, সে আমার স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে, এটাই তার অপরাধ। অন্য দিকে মোহাম্মদ খালেকের পরিবার এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি। নো কমেন্টস বলেই মিডিয়া কর্মীদের মুখের সামনেই ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন। তবে মোহাম্মদ খালেক বলেছেন, তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ মিথ্যা।
উল্লেখ্য, মোহাম্মদ খালেক এর আগেও পাঁচ বার গ্রেফতার হয়েছিলেন। লাস্ট সামারেও সে একজন মহিলাকে তার ট্যাক্সি তুলে তাকে পর্ণগ্রাফি দেখাচ্ছিলো এবং সেক্সের প্রস্তাব দেয়। সেই অভিযোগে কোর্ট মোহাম্মদ খালেকের ১ হাজার ডলার জরিমানা করে। তারপরেও তার শিক্ষা হয়নি। বর্তমানে মোহাম্মদ খালেকের লাইসেন্স সাসপেন্ড করা হয়েছে।

bhorersanglap

আরও পড়তে পারেন