স্ত্রীকে তালাক, শ্যালিকাকে নিয়ে উধাও
কুড়িগ্রামে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে আপন শ্যালিকাকে নিয়ে উধাও রবিউল ইসলাম (৩২) নামে এক যুবক। এ ঘটনায় তার স্ত্রী দুই অবুঝ সন্তান নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার ফকিরপাড়া গ্রামের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মোহাম্মদ আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম। ২০১০ সালের ১২ আগস্ট সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের আজর উদ্দিনের মেয়ে রুজিনা আক্তার আকলিমার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের জীবনে দু’টি সন্তানও রয়েছে। এদিকে রবিউল ইসলাম চলতি বছরের ২৬ জুন গোপনে কুড়িগ্রাম নোটারি পাবলিক কার্যালয়ে গিয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে স্ত্রী আকলিমাকে তালাক দেয়। তালাকের নোটিশ স্ত্রী ও পৌর মেয়রকে দেওয়ার বিধান থাকলেও সেটি গোপন রেখে স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখে সে।
বিষয়টি জানাজানি হলে প্রথমে অস্বীকার করে রবিউল। পরে বেশি চাপ দিলে স্ত্রীর ওপর চালায় নির্যাতন। এরপর সন্দেহ করার অজুহাতে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। এ ব্যাপারে রবিউলের চাচা ও চাচি আকলিমাকে মোবাইল ফোনে কথা বলতে দেওয়ার অপরাধে তাদের মোবাইল ভেঙে ফেলে রবিউল। এ সময় চাচি প্রতিবাদ করলে তার হাত মুচড়ে তাকে গুরুতর আহত করে। সবকিছু জানলেও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শ্বশুর আনোয়ার ও শাশুড়ি বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করেন।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কমিশনার মোস্তফা কামাল পাশা জানান, গত প্রায় একমাসে এ ঘটনা ঘটে। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।