শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

ভোরের সংলাপ ডট কম :
এপ্রিল ২৭, ২০১৮
news-image

রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখা এবং বাংলাদেশে অবস্থানকালে রোহিঙ্গাদের মানবিক সাহায্য প্রদানের জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অস্ট্রেলীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপ তার হোটেল কক্ষে এক সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী ‘গ্লোবাল সামিট অব উইমেন’ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার সকালে তিন দিনের সরকারি সফরে অস্ট্রেলিয়া পৌঁছেন।

বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে অস্ট্রেলীয় সরকারের কী ভূমিকা হতে পারে সে সম্পর্কে জানতে জুলি বিশপ বৈঠকে আগ্রহ ব্যক্ত করেন।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এর উত্তরে প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমার সরকারের প্রতি চাপ অব্যাহত রাখার এবং বিপন্ন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য সহযোগিতার হস্ত প্রসারিত করার আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি চুক্তি স্বাক্ষরির হয়েছে। যদিও তারা (মিয়ানমার) এটাকে অস্বীকার করছে না কিন্তু তারা চুক্তির বাস্তবায়নও করছে না।

অস্ট্রেলীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রায় ১০ লাখের অধিক রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় প্রদানে শেখ হাসিনার ভূমিকার প্রশংসা করেন। অস্ট্রেলিয়া এ বিষয়টিতে সর্বান্তকরনেই বাংলাদেশের পাশে থাকেছে, বলেন তিনি।

বৈঠকে জুলি বিশপ শেখ হাসিনাকে নারী মুক্তি এবং নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্ব নারীদের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক এবং সাহসী নেতা হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

দেশের রাজনীতিতে এবং জাতীয় সংসদে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং সেই সাথে সাথে প্রশাসন, বিচার বিভাগ, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীতে নারীদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধিতে প্রধানমন্ত্রী এ সময় তার বিভিন্ন সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এবং অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুফিউর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে পৌঁছেন। সিডনি বিমানবন্দরে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুফিউর রহমান প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

তথ্যসূত্র : বাসস

bhorersanglap