শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

প্রথমবারের মতো জলবায়ু তহবিলের টাকা পাচ্ছে বাংলাদেশ

ভোরের সংলাপ ডট কম :
মার্চ ১০, ২০১৮
news-image

২০১০ সালে মেক্সিকোর কানকুনে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে সবুজ জলবায়ু তহবিল (জিসিএফ) গঠনের আট বছর পর অবশেষে এই তহবিল থেকে প্রথমবারের মতো টাকা পেতে চলেছে বাংলাদেশ। জলবায়ুসহিষ্ণু অবকাঠামো নির্মাণে চার কোটি ডলার বা ৩২০ কোটি টাকা অনুদান পাবে সরকার।

গতকাল বৃহস্পতিবার জার্মান সংস্থা কেএফডাব্লিউর সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিতে সই করল সরকার। রাজধানীর শেরেবাংলানগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আযম। আর কে এফ ডাব্লিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য (এশিয়া ও ইউরোপ) রোলান্ড সিলার সই করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, সবুজ জলবায়ু তহবিল থেকে আমরা প্রথম টাকা পেতে চলেছি। জিসিএফ তহবিলের টাকা দিয়ে উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা ও সাতক্ষীরার ২০ উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। অর্থমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ অত্যন্ত ঝুঁকিতে রয়েছে। অথচ বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে বাংলাদেশ দায়ী নয়। এ জন্য দায়ী উন্নত বিশ্ব। অথচ বাংলাদেশই জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির সম্মুখীন। ভারত ও চীন সবচেয়ে প্রচুর কার্বন নিঃসরণ করে। তবে আশার কথা হচ্ছে, দেশ দুটি জলবায়ু ঝুঁকির বিষয়টি বর্তমানে আমলে নিচ্ছে এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপও নিচ্ছে। এর একটা ইতিবাচক প্রভাব এই অঞ্চলে পড়বে বলে আশা করছি।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে ইআরডি সচিব জানান, জলবায়ু সহিষ্ণু অবকাঠামো প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ নামের প্রকল্পে এ এই অর্থ ব্যয় হবে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার। এর মধ্যে জিসিএফের ৪ কোটি ডলার পাওয়া যাচ্ছে অনুদান হিসেবে। এ ছাড়া জার্মান সরকার অনুদান সহায়তা হিসেবে দিচ্ছে আরো দেড় কোটি ডলার। আর বাংলাদেশ সরকার অর্থায়ন করছে ২ কোটি ৭৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার। ইআরডি সচিব কাজী শফিকুল আযম বলেন, কে এফ ডাব্লিউ বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা। বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নে সংস্থাটি অংশ নিয়ে থাকে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলার সক্ষমতা বাড়বে। ভবিষ্যতে সংস্থাটির সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন ইআরডি সচিব।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রকল্পের আওতায় নির্বাচিত এলাকায় ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ ও সংস্কার, দুর্গম উপকূলীয় এলাকায় রাস্তা নির্মাণ, জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ নগরবাসীর নিরাপত্তার জন্য অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া আবহাওয়াসংক্রান্ত সব প্রয়োজনীয় তথ্য ও দুর্যোগ মোকাবেলার প্রস্তুতিমূলক তথ্যের জন্য একটি জলবায়ু সহিষ্ণু অবকাঠামো উত্কর্ষ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। ছয় বছর মেয়াদি প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে এলজিইডি।

bhorersanglap