বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রাশিয়ার সঙ্গে ফ্লিনের গোপন আলোচনা আইনসংগত : ট্রাম্প

ভোরের সংলাপ ডট কম :
ডিসেম্বর ৩, ২০১৭
news-image

ক্ষমতায় বসার আগেই রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনের গোপন যোগাযোগ আইনসংগত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

স্থানীয় সময় শনিবার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে করা এক পোস্টে ফ্লিনের ওই কাজের প্রতি নিজের সমর্থনের কথা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

টুইটে ট্রাম্প লেখেন, ‘আমি জেনারেল ফ্লিনকে বরখাস্ত করেছিলাম, কারণ তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এফবিআইকে মিথ্যা বলেছিলেন। এর জন্য তিনি দোষ স্বীকার করেছেন। সরকার পরিবর্তনের সময় তিনি যা করেছিলেন তা আইনসংগত ছিল, এর জন্য তাঁকে দোষী করা লজ্জার। কারণ, সেখানে গোপন করার কিছুই ছিল না।’

২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হন ট্রাম্প। কিন্তু ক্ষমতায় বসার আগেই তাঁর অন্যতম সহচর ফ্লিন রাশিয়ার সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ করেন বলে জোরেশোরে অভিযোগ তোলে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই ও কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। গোয়েন্দা সংস্থাটির অভিযোগের জের ধরে সে সময় পদত্যাগ করেন ফ্লিন।

গত শুক্রবার বিষয়টি স্বীকারও করেন ফ্লিন। ওয়াশিংটন ডিসির একটি আদালতে এ বিষয়ে স্বীকারোক্তিও দেন। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রে দায়িত্বরত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত সার্গেই কিসলাকের সঙ্গে আলোচনা করেন। সেখানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইসরায়েল ইস্যু নিয়ে কথা বলেন। ক্ষমতায় বসার আগেই ট্রাম্পের নির্দেশে প্রশাসনিক কাজে হস্তক্ষেপ করেন ফ্লিন।

আদালতে ফ্লিন আরো জানান, রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে তিনি যে তথ্য দিয়েছিলেন তা ছিল মিথ্যা, কল্পনাপ্রসূত ও প্রতারণামূলক। পরিবার ও দেশের স্বার্থেই তিনি সত্যিটা প্রকাশ করেছেন।

বিশ্লেষকদের ধারণা, এই স্বীকারোক্তির মধ্য দিয়ে ট্রাম্প পরিবারের আরো অনেকের জড়িত থাকার বিষয় সামনে চলে আসতে পারে। সে রকম কিছু হলে তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এমনকি সাক্ষীদের পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদও করা হতে পারে।

এফবিআইর আনা অভিযোগের জেরে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার ২৩ দিনের মাথায় পদত্যাগ করেন ফ্লিন। তখন থেকেই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তবে এত দিনে কেন তিনি সত্যিটা স্বীকার করেননি, তা পরিষ্কার নয়।

bhorersanglap