বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জেএমবির ১৪ সদস্যের ২০ বছর করে কারাদণ্ড

ভোরের সংলাপ ডট কম :
আগস্ট ৮, ২০১৭
news-image

টাঙ্গাইলে সিরিজ বোমা হামলা মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) ১৪ সদস্যকে ২০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর আহমেদ এ রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে তাদের আরও তিন বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

দণ্ডিত আসামিরা হলেন- টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার মাদারকোল গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে ইয়ামিন মিয়া, মোল্লা মিয়ার ছেলে হাবিল, মধু মিয়ার ছেলে রুস্তম, আব্দুল্লাহেল বাকির ছেলে তারিকুল, সবুর মাস্টারে ছেলে মিজান, রাজ্জাক মুন্সীর ছেলে আব্দুল আহাদ, কালিহাতী উপজেলার বল্লা গ্রামের আখম আজাদের ছেলে আরমান, একই গ্রামের মৃত নুরুজ্জামানের ছেলে আব্দুলাহ আল মামুন ও রাসেল, বাসাইল উপজেলার হাবলা দক্ষিণপাড়া গ্রামের শাজাহান মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান, গোপালপুর উপজেলার পলসিরা গ্রামের সুলতান হোসেনের ছেলে জিয়াউর রহমান, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার টেকপাড়া গ্রামের দীন মোহাম্মদের ছেলে দেলোয়ার হোসেন, বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার তোরাববেফা গ্রামের মোতাহার আলীল ছেলে শহীদুল ইসলাম ও ঢাকার ধামরাই উপজেলার শরিফবাগ গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে আব্দুল্লাহ আল তাসমিন। এদের মধ্যে আরমান, রাসেল, তারিকুল ও আব্দুল্লাহ আল তানমিন পলাতক রয়েছে।

জেএমবির প্রতিষ্ঠাতা শায়েখ আব্দুর রহমান ও সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাইয়ের অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় এবং হাবিল নামক অপর এক আসামির কারাগারে মৃত্যু হওয়ায় তাদের তিনজনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, দণ্ডিত আসামিরা ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট টাঙ্গাইল শহরের বেবীস্ট্যান্ড, কোট চত্ত্বর, শহীদ জগলু রোডে বোমা বিস্ফোরণ ঘটান। পরে টাঙ্গাইল সদর থানার এসআই বোরহান উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর ১৭ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম খান। আসামিদের জন্য রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট শামীম চৌধুরী দয়াল।

bhorersanglap