শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চোখ খুলি দেকপার পাই হাসপাতালোত : বেঁচে যাওয়া যাত্রী

ভোরের সংলাপ ডট কম :
জুন ২৪, ২০১৭
news-image

ঈদে ঘরে ফিরতে ব্যাকুল স্বল্প আয়ের মানুষগুলো ট্রাকের ছাদের ওপর থাকা সিমেন্টের বস্তায় বসেছিলেন। ট্রাক উল্টে সেই বস্তার নিচে চাপা পড়ে প্রাণ গেছে ১৬ জনের। আহত অবস্থায় হাসপাতালে ছটফট করছেন অনেকে।
দুর্ঘটনায় আহত খলিলুর রহমান রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ২১ বছরের যুবক ভাঙা ভাঙা গলায় বর্ণনা দিচ্ছিলেন দুর্ঘটনার। বললেন, পীরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে ট্রাক থেমেছিল। কয়েকজন সেখানে নেমে যায়। এরপর আবার ট্রাক চলতে থাকে। খলিলুর আরও বললেন, ‘এপাশ-ওপাশ করি হেলি-দুলি ট্রাক চলবার থাকে। হামরাও ট্রাকের ওপর দোলাদুলি করবার থাকি। হামরা ভয়ে ট্রাকের ওপর থাকি ড্রাইভারকে চিৎকার দিয়া বলবার থাকি আস্তে চালান।’

খলিল বলেন, এ কথা বলতে বলতেই বাসস্ট্যান্ড থেকে ছাড়ার ১০ মিনিটের মধ্যে ট্রাকটি উল্টে যায়। এরপর আর কিছু জানেন না তিনি। বললেন, ‘চোখ খুলি দেকপার পাই হাসপাতালোত।’
পীরগঞ্জের বাসস্ট্যান্ডে নামার পর ট্রাকটি চালক না চালকের সহকারী চালিয়েছিলেন তা জানেন না খলিলুর। তবে বাসস্ট্যান্ডের পর থেকেই ট্রাক হেলেদুলে চলতে থাকে।
খলিলুর প্রাণ গ্রুপের কর্মচারী। বললেন, জয়দেবপুরের গাজীপুর থেকে সিমেন্টবোঝাই ট্রাকটি রংপুরের দিকে যাচ্ছিল। তবে ট্রাকে অর্ধেক সিমেন্ট ছিল। গাজীপুরে চাকরি করা পোশাকশ্রমিকসহ অন্যান্য কারখানার ৪৫ জন শ্রমিক ওই ট্রাকের ছাদে ওঠেন। ট্রাক চলতে গিয়ে অনেকবার থামে। রংপুরের পীরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে কয়েকজন নেমে যান। এরপর ট্রাকে যারা ছিলেন সবাই একই এলাকার। দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে ১৫ জনের বাড়ি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চাপারহাট এলাকায়।
উৎসঃ amadershomoy

bhorersanglap

আরও পড়তে পারেন