শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অল্প কিছু টাকা বা সময় বাঁচাতে বাস-ট্রাকের ছাদে চড়বেন না: আইজিপি

ভোরের সংলাপ ডট কম :
জুন ২৪, ২০১৭

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি ) শহীদুল হক বলেছেন, ‘অল্প কিছু টাকা বা সময় বাঁচানোর জন্য বাস ট্রাক, ট্রেন, লঞ্চের ছাদে চড়ে নিজের জীবন বিপন্ন করবেন না। সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। প্রত্যেক নাগরিককে এই বিষয়টি চিন্তা করতে হবে।’

শনিবার (২৪ জুন) সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের কাচঁপুরে যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশের ওয়াচ টাওয়ার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আজিপি এসব কথা বলেন। সকালে রংপুরে ট্রাক উল্টে ১৭ যাত্রী নিহত হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, ‘ঈদের আগে বা পরে যখন রাস্তা কিছুটা ফ্রি থাকে, তখন দুর্ঘটনা বেড়ে যায়। যাত্রীরা দ্রুত বাড়ি যাওয়ার জন্য গাড়ির ছাদে ও মালবাহী ট্রাকে যাত্রী পরিবহন করে। যা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা টার্মিনাল বা স্টাডিং পয়েন্টে চেষ্টা করি। কিন্তু পথে পথে বিভিন্ন পয়েন্টে চালকরা অতিরিক্ত টাকার জন্য যাত্রী তোলে। খালি ট্রাক নিয়ে ড্রাইভার ঘুরে বেড়ায় যাত্রী তোলার জন্য। কিন্তু যেখানে আমাদের নজরে আসে আমরা এগুলো বন্ধ করি।’

আইজিপি বলেন, ‘মহাসড়কে গাড়ির চাপ অনেক বেশি থাকার কারণে অনেক জায়গায় যানবাহনের চলাচল ধীরগতি। কিন্তু র্দীঘ যানজটে আটকা পড়ে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে এমন পরিস্থিতি এবার নেই। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা সেতুর টোল প্লাজায় সেতুতে উঠতে এবং ঢাকা রাজশাহী মহাসড়কের সিরাজগঞ্জে একটি নির্মাণাধীন সেতুর কারণে কিছু সমস্যা হচ্ছে। তবে কোনও যানজট নেই।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি শহীদুল হক বলেন, ‘ঈদের আগে ও পরের তিন দিন মহাসড়কে মালবাহী ট্রাক চলাচল নিষিদ্ধ না করার জন্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু সবাই মানে নাই। তবে পচনশীর দ্রব্য বা এক্সপোর্ট পণ্য জাতীয় অর্থনীতির জন্য চলাচলে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। এছাড়া যেসব নরমাল পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করছে, সরু রাস্তার কারণে তাদের দীর্ঘ সময় আটকে রাখা যাচ্ছে না। আবার মহাসড়কের পাশে ডাম্পিংয়ে জায়গাও নেই। এছাড়া এসব হাজার হাজার ট্রাকের বিরুদ্ধে মোটর ভ্যাহিক্যাল আইনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করাও কঠিন কাজ। তাই ট্রাক মালিক সমিতির দায়িত্বে যারা আছেন তাদের অনুরোধ করবো, সরকারের পক্ষ থেকে যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তা মেনে চলার জন্য।’

ঈদে যারা ঢাকা ছাড়ছেন তাদের বাড়ি-ঘরের নিরাপত্তার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘ঢাকার শহরের বড় বড় আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনে সিসিটিভি ক্যামেরা ও নিজস্ব সিকিউরিটি আছে। পুলিশ বিশেষ ব্যবস্থায় চেক পোস্ট, মেবাইল টিম, পেট্রোল টিমসহ ব্যক্তিগত ও এরিয়া সিকিউরিটির সঙ্গে সমন্বয় করে ঈদে ঢাকায় নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।’

এ সময় আইজিপির সঙ্গে উপাস্থিত ছিলেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজ মো. সফিকুল ইসলাম, হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজ আতিকুর রহমান, ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজ মোহাম্মদ আলী, নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মঈনুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন। বাংলা ট্রিবিউন

bhorersanglap