মঙ্গলবার, ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ৩১ প্লটের ১৮টিই নিজেদের দখলে

ভোরের সংলাপ ডট কম :
জুন ৬, ২০১৭
news-image

ডেস্ক রিপোর্ট: রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) নতুন করে বরাদ্দ দেওয়া ৩১টি প্লট নানা অনিয়মে আরডিএর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নেতৃত্বে হরিলুট হয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাকে হাত করে কৌশলে এ কাজ করেছেন তারা। বিনিময়ে ওই সব নেতাকে দেওয়া হয়েছে প্লটের ভাগ। আরডিএর চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের পিয়ন-ড্রাইভাররা মিলে নিয়েছেন ১৮টি প্লট। গোটা পাঁচেক প্লট সাধারণ আবেদনকারীদের মধ্যে বরাদ্দ দিয়ে বাকিগুলো দেওয়া হয়েছে স্থানীয় নেতাদের।

প্লট বরাদ্দের আবেদনের শর্তে উল্লেখ করা হয়েছিল, রাজশাহী নগরীতে যাদের বাড়ি আছে এবং এর আগে যারা আরডিএর প্লট বরাদ্দ পেয়েছে, তারা এবারের প্লটের জন্য আবেদনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না। অথচ শেষ পর্যন্ত যারা প্লট বরাদ্দ পেয়েছে, তাদের বেশির ভাগেরই নগরীতে একাধিক বাড়ি ও প্লট রয়েছে।

জানা গেছে, গত ২৪ এপ্রিল আরডিএর অধীন নগরীর বনলতা বাণিজ্যিক এলাকার সম্প্রসারণ ও আবাসিক এলাকার উন্নয়নের জন্য ৩২টি প্লট বরাদ্দের বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। প্লট বরাদ্দের নোটিশে বলা হয়েছিল, যেসব শ্রেণির কোটা অপূর্ণ রয়েছে সেগুলোর প্রাপ্যতা অনুযায়ী প্লট বরাদ্দ দেওয়া হবে। গত ২৫ মে পর্যন্ত ৩১টি প্লটের বিপরীতে ১৫৪টি আবেদন জমা পড়ে। আবেদনকারীদের মধ্যে সরকারি কর্মকতা-কর্মচারী ছাড়াও স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীরাও রয়েছেন। নোটিশে আবেদনকারীদের উপস্থিতিতে লটারির মাধ্যমে প্লটের বরাদ্দপত্র চূড়ান্ত করার কথা বলা হলেও বাস্তবে কোনো লটারি করা হয়নি।

প্লট না পাওয়া আবেদনকারীদের অভিযোগ, আরডিএর কর্মকর্তা-কর্মচারী, তাদের পছন্দের লোকজন ও প্রভাবশালীদের মধ্যে প্লটগুলো ইচ্ছামতো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বেশির ভাগ প্লট নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছেন আরডিএর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আর কিছু প্লট নিয়ে বাণিজ্যও করেছেন কয়েকজন কর্মকর্তা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্লটের জমির মূল্য ধরা হয়েছে কাঠাপ্রতি ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সে অনুযায়ী সাড়ে তিন কাঠা আয়তনের একটি প্লটের দাম পড়ে ৩৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা। দুই কাঠার প্লটের দাম পড়ে ১৯ লাখ টাকা। তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর পক্ষে এত টাকা দিয়ে প্লট বরাদ্দ নেওয়া সম্ভব কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। প্রকৃতপক্ষে আরডিএর অনেক কর্মকর্তা নিজেদের পিয়ন-ড্রাইভারের নামে প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন পরে চড়া দামে বিক্রি করে দেওয়ার উদ্দেশে।

এ বিষয়ে দুদক রাজশাহী কার্যালয়ের উপপরিচালক শেখ ফায়েজ আলম বলেন, ‘এ ধরনের অভিযোগ লিখিত আকারে পেলে আমরা অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা নেব। প্লট নিয়ে দুর্নীতির কোনো সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না।
সূত্র: প্রিয়.কম

bhorersanglap