শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

প্রশ্ন ফাঁস : জনতা ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার কার্যক্রম স্থগিত

ভোরের সংলাপ ডট কম :
মে ২২, ২০১৭
news-image

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদে নিয়োগে লিখিত পরীক্ষার ফলাফল ও কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। চাকরিপ্রার্থীদের করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার এ আদেশ দেন হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ।

রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার জোতির্ময় বড়ুয়া জানান, হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। আদেশে ওই পরীক্ষার ফল প্রকাশ ও পরবর্তী কার্যক্রমে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। এর ফলে নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে নিয়োগের জন্য নেয়া পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে না বলে জানিয়েছেন মামলার আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

তিনি আরো জানান, পাশাপাশি প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তদন্তে ও ২১ এপ্রিল নেয়া লিখিত পরীক্ষার ফলাফল বাতিলে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। অর্থসচিব, আইনসচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বাংলাদেশ ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সভাপতিসহ সাত বিবাদীকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১০ মার্চ ৮৩৪টি পদের বিপরীতে জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি। এই পরীক্ষা গ্রহণের দায়িত্ব পায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ। গত ২৪ মার্চ সকাল ও বিকেলে প্রাথমিক বাছাই (প্রিলিমিনারি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আড়াই লাখ প্রার্থী তাতে অংশ নেন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হন ১০ হাজার ১৫০ জন। ২১ এপ্রিল লিখিত পরীক্ষায় ৯ হাজার ৪০০ জন অংশ নেন।

রাষ্ট্রায়ত্ত এ ব্যাংকটির সিনিয়র অফিসার পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ করেন চাকরি প্রত্যাশীরা। যা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমেও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেই পরীক্ষা অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ১৫ জন চাকরিপ্রার্থী। সেই রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার এ আদেশ দেন হাইকোর্ট।

এদিকে গত শুক্রবার (১৯ মে) অগ্রণী ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষারও প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে।

bhorersanglap