শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আদালত পরিবর্তনের নির্দেশ হাইকোর্টের জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়

ভোরের সংলাপ ডট কম :
মে ১৪, ২০১৭
news-image

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালত পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তবে কোন কোর্ট এ মামলা শুনানি করবেন তা এখনো বলা হয়নি। এ বিষয়টি আদালত পরবর্তী সময়ে নির্দেশ দেবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আবেদনের শুনানি শেষে রোববার বিচারপতি মো. শওকত হোসাইন ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া।

 

 
এর আগে এ মামলায় আবু আহমেদ জমাদারের প্রতি অনাস্থা জানানো হলে হাইকোর্ট বিশেষ জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে মামলটি শুনানির জন্য পাঠান। কিন্তু ওই বিচারক এই মামলার অভিযোগ দাখিলের সময় দুদকের পরিচালক ছিলেন বিধায় ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন খালেদা জিয়া। পরে তিনি এই বিচারকের ওপরও অনাস্থা প্রকাশ করেন। রোববার শুনানি শেষে হাইকোর্ট কামরুল হাসান মোল্লার আদালতের প্রতিও অনাস্থার আবেদন গ্রহণ করে বিচারক পরিবর্তনের আদেশ দেন।

 

 
এর আগে গত ২৬ এপ্রিল জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে দুর্নীতির অভিযোগ এনে দায়ের করা মামলায় বিচারকের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তাঁর আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করেন।

 

 

 
আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, এ মামলার বর্তমান বিচারক মামলার তদন্ত এবং অভিযোগ দাখিলের সময় দুদকের পরিচালক ছিলেন। এ কারণে তাঁর কাছে খালেদা জিয়া ন্যায়বিচার পাবেন না বলে মনে করেন। তাই অনাস্থা জানিয়েছেন। আজ হাইকোর্ট আবেদন গ্রহণ করে দ্বিতীয়বারের মতো বিচারক পরিবর্তনের আদেশ দেন।

 

 

 
গত ১৩ এপ্রিল এ মামলার শুনানিকালে অনাস্থার আবেদন করলে নাকচ করে দিয়েছিলেন বিচারক কামরুল হোসেন মোল্লা। ওই দিন আদালত বলেছিলেন, ‘মামলার এ পর্যায়ে এসে অনাস্থার আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়, তাই নাকচ করা হলো। আপনারা হাইকোর্ট থেকে আদেশ নিয়ে আসেন।’

 

 

 
জিয়া চ্যারিটেবল ও অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’-এর নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত এক কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি। জমির মালিককে দেওয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

 

 

 
২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ।

 

 

 
ওই মামলার অপর আসামিরা হলেন খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বি আইডব্লিউটিএ) নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

 

 

 
অন্যদিকে, ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা করা হয়।

bhorersanglap

আরও পড়তে পারেন