নাঙ্গলকোটে ডিজিটাল ইনকিউবেটর মেশিন আবিষ্কার করলেন বিপ্লব
বেলাল হোসাইন/আরিফুর রহমান মজুমদারঃ
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে এক বেকার যুবক ডিজিটাল ইনকিউবেটর মেশিন আবিষ্কার করেছেন। মো: জহিরুল ইসলাম (বিপ্লব) ৬ মাসের প্রচেষ্টায় সম্পূর্ন অত্যাধুনিক ডিজিটাল ইনকিউবেটর (বৈদ্যুতিক প্রক্রিয়ায় ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানোর) মেশিন তৈরী করতে সক্ষম হয়েছেন।
মো: জহিরুল ইসলাম (বিপ্লব)কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার পৌরসভার হরিপুর গ্রামের মো: মোখলেছুর রহমানের বড় ছেলে ।
এ বিষয়ে মো: জহিরুল ইসলাম জানান, তার এই মেশিনটি বিদেশ হতে আমদানি করা ইনকিউবেটর মেশিনগুলোর মত সম্পূর্ন ডিজিটাল সেন্সর ব্যবহার করে ডিজিটাল অবকাঠামোয় তৈরি করা হয়েছে। মাইক্রো কম্পিউটার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং মেশিনের চলমান অবস্থা দেখার জন্য রয়েছে ১.৫২.৫ ইঞ্চি এল.সি.ডি ডিসপ্লে, মেশিনটি তৈরি করতে সময় লেগেছে ৬ মাস। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৯ হাজার টাকা। ৮৫-৯০% বাচ্চা উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন এই মেশিনে একসাথে ৫৫০টি কোয়েল পাখির ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানো যায়। সময় লাগে ১৬ দিন। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী মেশিনটিতে ৬৫ ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হয়। কোয়েল পাখি ছাড়াও হাঁস,মুরগি,টার্কিশ পাখির ডিম থেকেও বাচ্চা ফুটানো যায়।
জহিরুল ইসলাম আরো জানায়, বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন পত্রিকায় নাঙ্গলকোটের কোয়েল পাখির খামার বিষয়ে একটি সংবাদ দেখে নিজে একটি মেশিন তৈরীর উদ্যোগ নিই। সম্পূর্ণ নিজ প্রচেষ্টায় দীর্ঘদিনের সময় ব্যয়ে অল্প খরচে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি ডিজিটাল মেশিন তৈরী করতে সক্ষম হয়েছি। বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক খাতে অপেক্ষাকৃত স্বল্প মূল্যের এই মেশিনটি পোল্ট্রি শিল্প প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা করেন।
তিনি আরো জানান, বানিজ্যিক ভাবে এ মেশিন সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার স্বপ্ন আছে, প্রচুর অর্থের প্রয়োজন, ব্যাংক,এন.জি.ও যদি অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করে তাহলে মেশিনটি সারা দেশে ছড়িয়ে দিব।